ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

অঙ্গদান : আইনে আত্মীয়দের পরিধি বাড়ছে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৩৯, ১৭ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১৭:৩০, ১৭ জুলাই ২০১৭

আত্মীয়ের সংজ্ঞা পরিবর্তন করে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ (কিডনি, হৃদপিণ্ড, ফুসফুস, অগ্নাশয়, অস্থি, চক্ষু, অন্ত্র, যকৃত) দেওয়া-নেওয়ার ক্ষেত্রে অনুমোদিত রক্তসম্পর্কিতদের পরিধি বাড়াতে আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে সরকার।

একইসঙ্গে সরকারি হাসপাতালের বিশেষায়িত ইউনিট ছাড়া অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন বা বিয়োজনের ক্ষেত্রে সব ধরনের হাসপাতালের জন্য সরকারের অনুমতি নেওয়াও বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

সচিবালয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন (সংশোধন) আইন- ২০১৭’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আশরাফ শামীম গণমাধ্যমকে বলেন, নতুন আইন অনুযায়ী যারা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান ও গ্রহণ করতে পারবেন তারা হলেন, আপন নানা, নানী, দাদা, দাদী, নাতি, নাতনী, চাচাতো-মামাতো-ফুফাতো-খালাতো ভাই বা বোন।

আগের আইনে নিকটাত্মীয় হিসেবে পুত্র, কন্যা, পিতা, মাতা, ভাই, বোন ও ও স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে রক্তসম্পর্কিত হিসেবে আপন চাচা, ফুফু, মামা, খালা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান ও গ্রহণ করতে পারতেন বলে জানান তিনি।

অতিরিক্ত সচিব শামীম বলেন, কোনো হাসপাতাল সরকারের অনুমতি ছাড়া মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন-বিয়োজন করতে পারবে না। যে হাসপাতালই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন করুক এ ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি লাগবে। আর যেসব সরকারি হাসাপাতালে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনের বিশেষায়িত ইউনিট রয়েছে সেসব হাসপাতালের অনুমোদন নেওয়ার দরকার নেই।

তিনি বলেন, যাদের অনুমতি নেই তারা এই আইন কার্যকর হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে অনুমতির জন্য সরকারের কাছে আবেদন করতে পারবে।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে হাইকোর্টের একটি নির্দেশনার আলোকে মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন ১৯৯৯ নামে বর্তমান আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

আর/ডব্লিউএন

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি