ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে কর মওকুফ : জব্বার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৫০, ১১ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৯:৪৮, ১১ জানুয়ারি ২০১৮

প্রযুক্তি খাতে যারা বিনিয়োগ করবেন সরকার তাদের কর ২০২৪ সাল পর্যন্ত মওকুফের চিন্তা ভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিষয়টি ‘একরকম চূড়ান্ত’ বলেও জানিয়েছেন তিনি। দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরিতে সরকার কাজ করছে বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপো-২০১৮’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, স্মার্টফোনে আমরা ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ড দেখতে চাই। বিদেশী মুঠোফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা আপনাদের ব্র্যান্ড নিয়ে আমাদের দেশে আসুন। এখানে তৈরি করুন। এখানে এবং আশপাশের বাজারে বিক্রি করুন। অন্যান্য দেশ যেসব সুবিধা দিচ্ছে তার থেকে কোনো অংশে কম কিছু আমরা দিব না।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথ্য-প্রযুক্তি দিয়েই তৈরি হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিশ্বের আর দশটি দেশ থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই। এ খাতে বিনিয়োগে অনেক দেশের থেকে এগিয়ে আছি আমরা। সঠিক পথে এ খাতটিকে রাখতে পারলে এর আরও উন্নতি সম্ভব।

সরকারি বিভিন্ন সেবার মাত্র ৪০ ভাগ এখন অনলাইনে দেওয়া হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ সংখ্যা শতভাগে নিয়ে আসতে কাজ করছি আমরা। এভাবে যখন ইন্টারনেট ব্যবহারে মানুষের প্রয়োজন বাড়বে তখন বাধ্য হয়ে হলেও দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে যাবে। ইন্টারনেটের বিভিন্ন ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসের জন্য শিগগিরই নীতিমালা তৈরি করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপো মেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক বলেন, আমাদের দেশ থেকে এখন সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার এবং সেবা বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। আর এগুলো রপ্তানিতে সরকার সর্বোচ্চ ১০ভাগ রপ্তানি সহায়তা দিচ্ছে। এর মাধ্যমে যারা বিদেশে এসব পণ্য-সেবা রপ্তানি করছেন তারা আর্থিকভাবে খুবই লাভবান হবেন। স্মার্টফোন এবং ট্যাবের ব্যবহারকারীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়ার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেটে আমরা যেসব সেবা দিচ্ছি সেগুলোকে আমরা বলছি ‘ই-গভার্নেন্স। আমরা বিষয়টিকে ‘এম-গভার্নেন্স’ অর্থ্যাৎ মোবাইল-গভার্নেন্সে নিয়ে আসতে চাচ্ছি। মানুষ এখন কোনো কাজের জন্য সরকারি-বেসরকারি অফিসে যেতে চায় না। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব আহমেদ জয়ের নির্দেশে আমরা এখন সে লক্ষ্যেই কাজ করছি। যেন একজন নাগরিক তার মুঠোফোনেই সব সরকারি সেবা পায়।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেশেই মুঠোফোন উৎপাদনের জন্য কারখানা তৈরির আহবান জানান। এর জন্য তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে সব রকম সহায়তা দেওয়ারও আশ্বাস দেন তারা।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্যামসাং বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার স্যাঙ্গোয়ান ইউন, ট্রানশান বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানুল হক, শাওমি বাংলাদেশের সিইও দেওয়ান কানন, আমরা কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ আহমেদ, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস লিমিটেডের ডেপুটি ডিরেক্টর জিয়া উদ্দীনসহ মেলার আয়োজক এবং অন্যান্য পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।  প্রসঙ্গত তিনদিনব্যাপী এ মেলা চলবে আগামী ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি