ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

যেসব খাবার ত্বক বুড়িয়ে যাওয়া কমায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৩৮, ১০ এপ্রিল ২০১৮

অসময়ে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়া আমাদের অন্যতম একটি সমস্যা। স্ট্রেসের মাত্রা বেড়ে যাওয়া কারণেই এমনটি হচ্ছে। এর আরও একটি কারণ হচ্ছে পরিবেশ দূষণ। আর ত্বক বুড়িয়ে যাওয়া মানে বলিরেখা প্রকাশ পাওয়া।

তবে এইসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু খাবার ও কিছু নিয়ম মেনে চললেই সম্ভব।  

যেসব খাবার :

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে: ত্বক তখনই বুড়িয়ে যায়, যখন ত্বক নিজের আদ্রতা হারাতে থাকে। এই কারণেই তো ত্বককে সুন্দর রাখতে বেশি মাত্রায় পানি খাওযার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। আসলে দেহের ভিতরে পানির ঘাটতি দূর হলে ত্বকের আদ্রতাও বজায় থাকে। ফলে ত্বকের ইলাস্ট্রিসিটির এত মাত্রায় উন্নতি ঘটে যে সৌন্দর্য তো কমেই না। বরং বয়সের কোনও ছাপই পরে না ত্বকের উপর।

ডালিম: এই ফলটি নিয়মিত খেলে শরীরের পাশাপাশি ত্বকের ভিতরেও রক্তের প্রবাহ বেড়ে যেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না।

ডিম: ত্বককে সুন্দর রাখতে বাস্তবিকই ডিমের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে নিয়মিত একটা করে ডিম খাওয়া শুরু করলে দেহের ভিতরে প্রোটিনের ঘাটতি কমতে শুরু করে। আর শরীরে যখন প্রোটিনের ঘাটতি দূর হয়, তখন ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্য বাড়তে সময় লাগে না।

সবুজ শাক-সবজি: এই ধরনের খাবারে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপস্থিত থাকে, যা টক্সিক উপাদানদের বের করে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই ত্বককে যদি সুন্দর ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করতে চান, তাহলে রোজ সবুজ শাক-সবজিকে খেতে হবে।

যেসব নিয়ম :

চিনি কম খাওয়া জরুরি: একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, দেহের ভিতরে চিনির মাত্রা বাড়তে থাকলে শরীরে গ্লাইকেশন ঘটতে থাকে। এই সময় চিনি, ত্বকের ভিতরে পানির মাত্রা কমাতে শুরু করে। ফলে ত্বকের আদ্রতা হারিয়ে যায়। আর এমনটা হলে বলিরেখা প্রকাশ পেতেও সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই যদি ত্বককে সুন্দর এবং বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করতে চান তাহলে চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। এই নিয়ম মানতে পারলেই উপকার মিলবে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টর ঘাটতি যেন না হয়: ত্বকের ভিতরে টক্সিক বা বিষাক্ত উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করলে ত্বক বুড়িয়ে যেতে শুরু করে। তাই এমনটা যাতে আপনার ত্বকের সঙ্গে না ঘটে, তা সুনিশ্চিত করতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই যে যে খাবারে এই দুই উপাদান রয়েছে, তা বেশি করে খেলে ত্বকের গভীরে জমতে থাকা টক্সিক উপাদান বের করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের সৌন্দর্য কমার আশঙ্কা কমে যায়। যেমন- জাম, ডার্ক চকোলেট, কিশমিশ, টমাটো, ব্রকলি, কাজু বাদাম প্রভৃতি বেশি করে খেতে হবে।

প্রোটিনের ঘাটতি: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, দেহের ভিতরে প্রোটিনের মাত্রা কমতে থাকলে ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে স্ট্রেসের মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে তার সরাসরি প্রভাবে পরে ত্বকের উপর। আসলে স্ট্রেস লেভেল বাড়লে মস্তিষ্কে কর্টিজল নামক একটি হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে ত্বক বুড়িয়ে যেতে থাকে। এই কারণেই তো ত্বককে সুন্দর রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

ঘুমের ঘাটতি হলেই সমস্যা: আমাদের ত্বককে সুস্থ রাখতে কমপক্ষে আট ঘণ্টা ঘুমতেই হবে। আর যদি এমনটা করতে না পারেন, তাহলে সৌন্দর্য তো কমবেই, সেই সঙ্গে ব্লাড প্রেসার, হার্টের রোগসহ নানাবিধ জটিল অসুখ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা যাবে বেড়ে।

সূত্র : বোল্ডস্কাই।

কেএনইউ/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি