ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

রোজা রাখার ৫ উপকারিতা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩০, ৩ মে ২০১৮ | আপডেট: ১০:০১, ১০ জুন ২০১৮

সিয়াম সাধনা বা রোজা শুধু আত্মিক উন্নতি সাধনই করে না, বরং মানসিক প্রশান্তি ও দৈহিক সুস্থতাও বয়ে আনে।

১. এক মাস রোজা দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনে। মাসব্যাপী খাবারের সংযম বছরের বাকি মাসগুলোতে শরীরকে অধিক কর্মক্ষম করে। বিশেষ করে পরিপাকতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। লিভার শক্তিশালী হয়ে ওঠে। রোজার ফলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো বিশ্রাম লাভ করে। শরীরের সঞ্চিত বিষাক্ত পদার্থগুলো দূর হয়ে যায়।

২. পৃথিবীতে প্রতি বছর অপুষ্টিতে যত মানুষ মারা যায় তার চেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় অতিপুষ্টিতে বা অতিরিক্ত পানাহারের ফলে সৃষ্ট সমস্যা থেকে।

৩. যখনই একবেলা খাওয়া বন্ধ থাকে তখনই দেহ সেই মুহূর্তটিকে রোগ মুক্তির সাধনায় নিয়োজিত করে। অতিভোজনের ফলে দেহে যে টক্সিন তৈরি হয় তা বায়ুমন্ডলীকে বিষাক্ত করে তোলে। ফলে দেহে এক অস্বাভাবিক রকমের ক্লান্তিবোদ ও জড়তা নেমে আসে।

৪. এক মাসের রোজায় ওজন হ্রাস পায়, রক্তের কোলেস্টেরল লেভেল কমে আসে, করোনারি ধমনীতে সঞ্চিত চর্বি কমতে থাকে যদি রোজায় চর্বি জাতীয় খাবার ও ভাজা-পোড়া খাবার কম খায়। ফলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়।

৫. গ্যাস্ট্রিক বা ডিওডেনাল আলসারের কারণে যারা রোজা রাখতে ভয় পান তাদের জন্য সুখবর, রোজা আলসার বৃদ্ধি করে না। এটি আজ চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের অভিমত। কেননা রোজা যেহেতু মানসিক প্রশান্তি নিয়ে আসে সেহেতু এসিড নিঃসরণ স্বাভাবিক থাকে। রোজায় গ্যাস্ট্রিক আলসারের রোগীরা ভাল থাকেন। তবে ডিওডেনাল আলসারের রোগীদের ক্ষেত্রে কখনও কখনও রোজায় ব্যথা বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে                 রেনিটিডিন ট্যাবলেট (১৫০ এমজি) বা প্যানটোপ্রাজল ট্যাবলেট (২০এমজি) বা ওমেপ্রাজল ট্যাবলেট(২০এমজি) সেহরি ও ইফতারির সময় খাওয়া যেতে পারে।    

একে//                        

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি