ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪

সৈয়দ শামসুল হক স্মৃতি কেন্দ্র স্থাপিত হবে কুড়িগ্রামে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:০৭, ২৯ এপ্রিল ২০১৮

প্রয়াত কবি-সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক স্বরণে কুড়িগ্রামে ‘সৈয়দ শামসুল হক স্মৃতি কেন্দ্র’ স্থাপিত হবে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এই কেন্দ্র স্থাপিত হবে।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইতোমধ্যে কেন্দ্র স্থাপনের নকশা প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে। নকশা প্রণয়ন করেছেন দেশের বিশিষ্ট স্থপতি ও কবি রবিউল হুসাইন। খুব শিগগির কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

স্মৃতিকেন্দ্র নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত ব্যাক্তিবর্গ জানান, কুড়িগ্রামে কবিকে যে স্থানে সমাহিত করা হয়েছে, সেই স্থানেই স্মৃতি কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। কুড়িগ্রাম কলেজ প্রাঙ্গণে কবিকে সমাহিত করা হয়। সেখানে বর্তমানে কবির সমাধিতে বাঁশের বেড়া ও উপরে টিনের ছাউনি দিয়ে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর গণমাধ্যমকে জানান , সৈয়দ শামসুল হক বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি, চলচ্চিত্র, নাটকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের এক শীর্ষ ব্যাক্তিত্ব। তার স্বরণে সরকারের উদ্যোগে তার জন্মভূমি, যেখানে তাকে সমাহিত করা হয়েছে, সেই কুড়িগ্রামের জলেস্বরীতে তার সমাধি প্রাঙ্গণে স্মৃতি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বেশ কয়েক মাস আগে। শিগগির স্মৃতি কেন্দ্র নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

নির্মাণ বিষয়ে নকশা প্রণয়নকারী স্থপতি ও কবি রবিউল হুসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, সম্প্রতি আমরা কয়েকজন কবির সমাধি প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেছি। এ দলটিতে আরও ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, কবির সহধর্মিনী কথাশিল্পী আনোয়ারা সৈয়দ হক, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী । সবার মতামতের ভিত্তিতে স্থান নির্ধারণ করা হয়। কুড়িগ্রাম কলেজে প্রাঙ্গণে কবির সমাধিতেই এই কেন্দ্র হচ্ছে। স্মৃতিকেন্দ্র নির্মাণের জন্য এক একর জায়গা নেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, এলাকাবাসীর দাবি অনুযায়ি আমি কেন্দ্রের নকশা প্রণয়ন করেছি। স্মৃতি কেন্দ্রে থাকবে একটি চারতলা ভবন। একটি উন্মুক্ত মঞ্চ হবে। থাকবে একটি পাঠগার। এতে সৈয়দ হকের প্রকাশিত সব বই থাকবে। থাকবে তার ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রি। ভবনের সামনে থাকবে একটি শোভিত বাগান। ভবনে একটি থাকবে মিলনায়তন। সেমিনার কক্ষ। কবিকে নিয়ে একটি গবেষণা সেলও থাকবে।

কবির সহধর্মিনী কথাশিল্পী আনোয়ারা সৈয়দ হক গণমাধ্যমকে জানান, সৈয়দ হকের স্মৃতি স্বরণে রাখার জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্মৃতি কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, কয়দিন আগে সৈয়দ হকের বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেছেন, কেন্দ্র নির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু হবে। এতে আমরা মনে করছি, কাজ শুরু হয়ে যাবে। আর এর মাধ্যমে এই কীর্তিমান মানুষটিকে ভবিষ্যত প্রজন্ম জানার সুযোগ পাবেন। বাসস

এমএইচ/টিকে


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি