ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

পাবনায় সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা

প্রকাশিত : ০৯:০৮ এএম, ৬ মে ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০৯:৪৭ এএম, ৬ মে ২০১৭ শনিবার

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। পাবনা শহরের হেমসাগর লেনে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার জন্ম। সেখানেই কেটেছে সুচিত্রা সেনের জীবনের প্রথম ১৬টি বছর। সম্প্রতি এই ঐতিহ্যবাহী বাড়িতে গড়ে তোলা হয়েছে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা। প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী আসেন সংগ্রহশালা দেখতে।
বাঙালির হৃদয়ে আজও অমলিন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম মুগ্ধ তাঁর অভিনয় গুণ আর মোহনীয় রূপে।
বিখ্যাত এই শিল্পীর জন্ম পাবনায়। ডাক নাম কৃষ্ণা। বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত পাবনা মিউনিসিপ্যালিটির স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও মা ইন্দিরা দেবী ছিলেন গৃহবধূ। মা-বাবার পঞ্চম সন্তান সুচিত্রা। দুরন্ত শৈশব কৈশোর কেটেছে পাবনা শহরে। লেখাপড়া করেছেন সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে।
১৯৪৭ সালে শিল্পপতি আদিনাথ সেনের ছেলে দিবানাথ সেনের সঙ্গে বিয়ে হয় সুচিত্রার। ঢাকার গেণ্ডারিয়ায় দীননাথ সেন রোডে তার শ্বশুর বাড়ি। বিয়ের পর কলকাতায় বসবাস শুরু করেন সুচিত্রা। মেয়ে মুনমুন সেন ও দুই নাতনী রিয়া ও রাইমাও অভিনয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন।
৪৭ এ দেশভাগের সময় সুচিত্রারা স্ব-পরিবারে কলকাতায় চলে যান। ১৯৮৭ সালে জামায়াত নেতা রাজাকার আব্দুস সোবহান বাড়িটি লিজ নিয়ে ‘ইমাম গায্যালী ইন্সটিটিউট’ গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে দখল হয়ে যায় সুচিত্রা সেনের বাড়িটি। পরে সংস্কৃতিকর্মীদের আন্দোলনের মুখে দখলমুক্ত হয়। ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল সুচিত্রা সেনের জন্মদিনে বাড়িটিতে উদ্বোধন করা হয় সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা।
বাড়িটিতে পূর্ণাঙ্গ সংগ্রহশালার পাশাপাশি চলচ্চিত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন সংস্কৃতিকর্মীরা।
পথে হলো দেরী, সপ্তপদী, শাপমোচন, সাগরিকা, বিপাশাসহ অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করে মানুষের মন জয় করেন কিংবদন্তী এই নায়িকা। ১৯৭৮-এ মুক্তি পায় তার অভিনীত শেষ ছবি ‘প্রণয় পাশা’। এরপর লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান তিনি।
২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি ভক্তদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান মহানায়িকা সুচিত্রা সেন।