ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

গাজীপুরে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঐতিহাসিক ভাওয়াল রাজবাড়ী

প্রকাশিত : ১১:২৭ এএম, ১৭ জুন ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০২:৩০ পিএম, ২৩ জুন ২০১৭ শুক্রবার

গাজীপুর শহরের প্রানকেন্দ্রে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঐতিহাসিক ভাওয়াল রাজবাড়ী। আয়তনের দিক থেকে তৎকালীর ঢাকার নওয়াব এস্টেটের পরেই ছিল এই জমিদার বাড়ির অবস্থান। এই রাজবাড়ীর সাথে জড়িয়ে আছে ভাওয়াল রাজা সন্নাসী রমেন্দ্র নারায়ন রায় চৌধুরীর মৃত্যু ও ১২ বছর পরে আবির্ভাবের কাহিনী। প্রাসাদটি বর্তমানে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়।
মৃত্যুর পর এক রাজার জীবিত হয়ে ফিরে আসার কাহিনী নিয়ে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ভাওয়াল গড়ের সুউচ্চ এই প্রাসাদ।
সেই রাজা হলেন রমেন্দ্র নারায়ণ। যিনি ছিলেন ভাওয়াল রাজবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণের দ্বিতীয় সন্তান। ১৯০১ সালে রাজেন্দ্র নারায়ণ, পরে তার দুইভাই ও ১৯০৭ সালে মা- রানী বিলাসমনীর মৃত্যুর পর রাজা হন রমেন্দ্র নারায়ণ। একই বছর বিভাবতীকে বিয়ে করেন তিনি।
১৯০৯ সালে অসুস্থ্য হয়ে দার্জিলিংয়ে মারা যান রাজা রমেন্দ্র। তাকে শ্বশানে নেয়ার পর হঠাৎ ঝড় উঠলে রানী বিভাবতী-সহ সবাই মৃতদেহ সৎকার না করে চলে যায়। তখনই প্রশ্ন উঠে বিভাবতীর পতিসেবা নিয়ে।
এখানেই ঘটনার শেষ নয়, মৃত্যুর ১২ বছর পর সন্নাসী বেসে রাজা রমেন্দ্র নারায়ন রায় ফিরে আসেন জয়দেবপুরে। আদালতেও প্রমাণ হয় তিনিই সেই রাজা রমেন্দ্র। কিন্তু রায়ের মাত্র ৩দিন পরেই মারা যান তিনি। আর এর মধ্য দিয়েই বিলুপ্তি ঘটে ভাওয়াল রাজ বংশের।
অবিশ্বাস্য সেই কাহিনীর স্বাক্ষী হয়ে আছে ১৫ একর জমির উপরে নির্মিত বিশাল এই প্রাসাদ। বর্তমানে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত প্রাসাদটিতে রয়েছে বিশাল বারান্দা, নাট মন্দির, পদ্ম মন্দির ও তাল কাঠের সিঁড়ি।  
ঐতিহাসিক ভাওয়াল রাজ বাড়ীটির সঠিক রক্ষনাবেক্ষন আর স্মৃতিরক্ষার দাবী গাজীপুরবাসীর।