ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

কেন বিয়ের পর মুটিয়ে যায় নবদম্পতিরা

প্রকাশিত : ০২:২০ পিএম, ১৮ জুন ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ১২:০৮ পিএম, ১৯ জুন ২০১৭ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বিয়ের পর অনেককেই মুটিয়ে যেতে দেখা যায়। স্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রার উপর বিয়ের ইতিবাচক প্রভাব আছে বলেই মনে করা হয়। তারপরও কেনো বিয়ের পর মুটিয়ে যায় মানুষ? এর জন্য দায়ী তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা। ইউরোপের নয়টি দেশ জুড়ে করা এক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, অবিবাহিতদের তুলনায় দম্পতিরা সাধারণত স্বাস্থ্যকর খাবার বেশি খেয়ে থাকেন। তবে তাদের উল্লেখযোগ্য হারে ওজন বাড়লেও পরিশ্রমের মাত্রাও কমে।

গবেষকরা দেখেন, বিবাহিত পুরুষরা অবিবাহিতদের তুলনায় অর্গানিক এবং ন্যায্য মূল্যের খাবার বেশি কেনেন। ইউনিভার্সিটি অফ বাসেলের হেলথ সাইকোলজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ও প্রধান গবেষক ইয়ুতা মাতা বলেন, “দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কে জড়িত পুরুষরা অনেক সচেতনতার সঙ্গে আরও স্বাস্থ্যকরভাবে খাওয়া-দাওয়া করেন।”

তবে তার মানে এই নয় যে তারা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। গবেষণায় দেখা যায়, অবিবাহিতদের তুলনায় বিবাহিত পুরুষরা শারীরিক পরিশ্রম কম করেন। গবেষকরা বৈবাহিক অবস্থা এবং বডি ম্যাস ইনডেক্স (বিএমআই) মধ্যকার সম্পর্ক পর্যবেক্ষণ করেন। উচ্চমাত্রার বিএমআই হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা যেমন ডায়াবেটিস বা হৃদরোগের কারণ।

গবেষকরা অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, রাশিয়া, স্পেন এবং ব্রিটেনের ১০ হাজার ২শ’ ২৬ জন উত্তরদাতার তথ্য ‘ক্রস-সেকশনাল’ পদ্ধতিতে পর্যালোচনা করেন। নয়টি দেশের ফলাফলেই দেখা যায়, দম্পতিদের বিএমআই’য়ের মাত্রা অবিবাহিতদের তুলনায় বেশি, নারী-পুরুষ উভয়েরই।

বার্লিনের ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইন্সিটিটিউট ফর হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের রাল্ফ হার্টউইগ বলেন, “সামাজিক বিষয়গুলো স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। আর বিয়ে এবং আনুষঙ্গিক পরিবর্তনগুলো শারীরিক পুষ্টি এবং ওজনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত।”

বিবাহিত দম্পতিদের পাশাপাশি অবিবাহিত দম্পতিদের নিয়েও বাড়তি গবেষণা করেছেন গবেষকরা। দম্পতিদের কাছ থেকে জানা গেছে তারা টিনজাত বা প্যাকেট করা খাবারের চাইতে আঞ্চলিক ও অপ্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি কেনেন।

মাতা বলেন, “বাস্তবে দম্পতিরা সবক্ষেত্রে ততটা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করেন না, যতটা মনে করা হয়, এমনটাই ইঙ্গিত করে এই গবেষণার ফলাফল।”

এই গবেষণাটি প্রকাশ করেছে সোশাল সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন জার্নাল।।