ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

সংগীতজ্ঞ সুধীন দাশ আর নেই

প্রকাশিত : ০৯:৪৬ পিএম, ২৭ জুন ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:৪৪ এএম, ২৮ জুন ২০১৭ বুধবার

সংগীতজ্ঞ-পণ্ডিত সুধীন দাশ আর নেই। রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। একুশে পদক পাওয়া এই শিল্পীর মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

সুধীন দাশ দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। কিছুদিন ধরে তার হজমে সমস্যা হচ্ছিল। মঙ্গলবার সকালে তাকে অ্যাপেলো হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা তাকে লাইফ সাপোর্টে নিয়ে যান।

সুধীন দাশের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বুধবার (২৮ জুন) সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে মরদেহ। পরে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হবে পোস্তগোলা শ্মশানে।

সুধীন দাশ বাংলাদেশের একজন সংগীতজ্ঞ এবং সঙ্গীত গবেষক। বাংলা সংগীতের ক্ষেত্রে যারা বিশেষ অবদান রেখেছেন তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম। সংগীতের প্রতিটি শাখায় তিনি সদর্পে বিচরণ করেছেন। তার বিশেষত্ব হচ্ছে নজরুল সংগীতের আদি গ্রামোফোন রেকর্ডের বাণী ও সুর অনুসারে স্বরলিপি গ্রন্থ লেখা।

সুধীন দাশ এ পর্যন্ত নজরুল ইনস্টিটিউট থেকে ১৬টি ও নজরুল একাডেমি থেকে ৫টিসহ মোট ২১টি খণ্ডের নজরুলের গানের স্বরলিপি গ্রন্থ বের করেছেন। লালনগীতির ক্ষেত্রেও তার অবদান সর্বজন স্বীকৃত। তিনিই প্রথম লালনগীতির স্বরলিপি গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন।

সুধীন দাশ জীবনের পুরোটা সময়ই গান গেয়েছেন সুর করেছেন, কাজ করেছেন সংগীত পরিচালক হিসেবে।  বাংলা গানের ধ্রুবতারা কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টিকে শ্রোতার কাছে শুদ্ধরূপে পৌঁছে দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি তিনিই করেছেন।

১৯৩০ সালের ৩০ এপ্রিল জন্ম নেওয়া এই কিংবদন্তি ১৯৮৮ সালে একুশে পদক পাওয়ার পাশাপাশি পেয়েছেন বহু পুরস্কার, সম্মাননা।

স্ত্রী নীলিমা দাশ ও একমাত্র মেয়ে সুপর্ণা দাশকে পাশে নিয়েই সুধীন দাশের শেষ সময়টা কেটেছে মিরপুরের বাসায়। ২০০৬ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সুধীন দাশের একমাত্র ছেলে অকাল প্রয়াত সংগীতশিল্পী নিলয় দাশ।