ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ঢাবি শিক্ষকের কক্ষে শিক্ষিকা, হঠাৎ স্ত্রী এসে হাজির

প্রকাশিত : ০১:০৯ পিএম, ৬ আগস্ট ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ০৩:৫১ পিএম, ৮ আগস্ট ২০১৭ মঙ্গলবার

শনিবার রাত আনুমানিক ৮টা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের একটি কক্ষে কাজ করছিলেন সাইকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আকিব উল হক এবং ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের এক শিক্ষিকা। দরজা খোলা থাকলেও কক্ষটিতে ছিল পর্দা টানানো।


এমন সময় আকস্মিকে ওই কক্ষে এসে হাজির হলেন আকিবের স্ত্রী। ওই শিক্ষিকার সঙ্গে `অনৈতিক সম্পর্ক` আছে আকিবের এমন অভিযোগ তুলে হইচই বাধিয়ে দেন তিনি। ছুড়ে ফেলেন দুই শিক্ষকের সামনে থাকা ফাইলপত্র।


চিৎকার চেঁচামেচির একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন সাইকোলজি বিভাগের আরেক শিক্ষক। তিনি পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়ে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এ এম আমজাদকে জানান। প্রক্টর আমজাদ হোসেন ঘটনাস্থলে থেকে আকিব উল হক এবং তার স্ত্রীকে নিজের অফিসে ডেকে নেন। বাসায় পাঠিয়ে দেন সঙ্গে থাকা ওই শিক্ষিকাকে।


প্রক্টর অফিসে দীর্ঘ দেড় ঘণ্টা ধরে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন প্রক্টর। এক পর্যায়ে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাসরিন ওয়াদুদের কাছে তাদের পাঠানো হয়।


 ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, আকিব ও ওই শিক্ষিকা সহকর্মী। তাদের মধ্যে পেশার প্রয়োজনে যতটুকু সম্পর্ক রাখা দরকার ততটুকু আছে। কিন্তু শিক্ষক আকিবের সঙ্গে তার স্ত্রীর সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। আকিবের স্ত্রী তাকে সন্দেহ করেন। দীর্ঘদিনের সন্দেহের ধারাবাহিকতায় এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আকিবের স্ত্রী তার কক্ষে এসে হাজির হন। এ সময় তিনি ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের এক শিক্ষিকার সঙ্গে স্বামীকে দেখতে পেয়ে হট্টগোল শুরু করেন।


তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এ এম আমজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, এটি তাদের পারিবারিক বিষয়। ওই শিক্ষক এবং শিক্ষিকা একই কক্ষে একটি প্রজেক্টের সম্মিলিত কাজ করছিলেন। তবুও তিনি সন্দেহ করে এমনটি করেছেন। এটা তাদের ভুল বুঝাবুঝি। ওই সময় দরজা খোলা ছিল তবে পর্দা টানানো থাকায় ওই শিক্ষকের স্ত্রী এমন করতে পারেন।
//এআর