ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কীভাবে আবেদন করবেন ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায়

প্রকাশিত : ১০:২৮ পিএম, ৭ আগস্ট ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ০৩:৫০ পিএম, ৮ আগস্ট ২০১৭ মঙ্গলবার

আজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার আবেদন কার্যক্রম। সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক এ আবেদনে আছে সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম। ফরম পূরণ করার সময় নিয়মগুলো শিক্ষার্থীদের মনে রাখা জরুরি। কেননা পর্যায়ক্রমে ১১টি ধাপে এ নিয়মগুলো অনুস্মরণ করে শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার ফরম পূরণ কার্যক্রম শেষ করতে পারবেন। ঢাবির ওয়েবসাইটে উল্লিখিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে নিয়মগুলো তুলে ধরা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আবেদনকারী৭ আগস্ট ২০১৭ থেকে ২৯ আগস্ট ২০১৭ পর্যন্ত এ আবেদন করতে পারবেন। যেকোনো ইউনিটের জন্য প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ওয়েবসাইট `http://admission.eis.du.ac.bd`লগইন করতে হবে। এ সাইটে ভর্তির যাবতীয় নির্দেশিকা, নোটিশ এবং লিঙ্ক পাওয়া যাবে। আবেদনের পূর্বে এখানে দৃশ্যমান প্রতিটা পেইজের হলুদ বক্সের নির্দেশনা পড়ে নিতে হবে। আবেদনকারীকে প্রথমে সাইটে প্রদর্শিত ‘আবেদন/লগইন’বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরই মধ্যে আবেদনকারী অতিক্রম করবে আবেদনের ৩টি ধাপ।

নির্দেশিকার চতুর্থ ও পঞ্চম পর্যায়ে `আবেদন/লগইন` বাটনে ক্লিক করার পর প্রদর্শিত পেইজে আবেদনকারীর উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার রোল নম্বর, পাসের সন ও বোর্ডের নাম এবং মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষার রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর “অগ্রসর হোন”বাটনে ক্লিক করতে হবে। পরবর্তী পর্যায়ে মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষার সব তথ্য ও কোন ইউনিটে পরীক্ষা দিতে চাই তা বাঁছাই করে ‘নিশ্চিত করছি’বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ষষ্ঠ ধাপে আবেদনকারীকে আগে কোনো ইউনিটে আবেদন না করে থাকলে নির্দিষ্ট ফরম্যাটের একটা ছবি, মোবাইল নম্বর ও কোটার তথ্য দিতে হবে। এরপর যেকোনো মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে 16321 নম্বরে নিশ্চিতকরণ এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএস এ আবেদনকারী পেইজের নির্ধারিত স্থানে কনফারমেশন কোড দিয়ে‘নিশ্চিত করছি’বাটনে ক্লিক করতে হবে।

আবেদনের সপ্তম পর্যায়ে সঠিক কনফারমেশন কোড দেয়া হলে আবেদনের মূল পাতা দেখা যাবে। প্রার্থী যোগ্যতা অনুযায়ী ইউনিটের টাকা জমার রশিদ সংগ্রহ করতে পারবে। এখানে ‘আবেদন’ বাটনে ক্লিক করার পর বাটনটির স্থানে একটি সবুজ রঙের টিক চিহ্ন দেখা যাবে। এখানে টাকা জমার রশিদ ও ডাউনলোডের লিঙ্ক পাওয়া যাবে। পরবর্তীতে পরীক্ষার প্রবেশপত্র, আসন বিন্যাস, ফলাফলসহ যাবতীয় তথ্য এখন থেকেই সংগ্রহ করতে হবে।

টাকা জমা রশিদের দুইটি অংশ থাকে। এর উপরেরটি আবেদনকারীর এবং নিচেরটি ব্যাংকের অংশ। মনে রাখতে হবে যে, আবেদনকারীর অংশটি ভর্তি পরীক্ষার অংশ নয়। পরীক্ষার প্রবেশপত্রের বিকল্প হিসেবেও টাকা জমার রশিদের অংশটুকু ব্যবহার করা যাবে না।

আবেদনকরীকে রশিদে উল্লিখিত পরিমান টাকা রাষ্ট্রায়ত্ব চার ব্যাংক-সোনালী, রূপালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকে জমা দিতে হবে। কোনো ইউনিটে আবেদনকারীর ব্যাংকে টাকা জমার তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছালে ইউনিটের পেমেন্ট কলামে একটি সবুজ রঙের টিক চিহ্ন দেখা যাবে। সর্বশেষ ‘গ’ এবং ‘চ’ ইউনিটের আবেদনকারীরা ৩০ আগস্ট এবং ‘ক’,‘খ’ এবং ‘ঘ’ ইউনিটের আবেদনকারীরা ১২ সেপ্টেম্বর হতে পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১  ঘণ্টা আগ পর্যন্ত প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।

আরকে/ডব্লিউএন