ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনের তিনটি ধারা কেন অবৈধ নয়

প্রকাশিত : ০৬:২০ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:১১ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ বুধবার

মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইনের তিনটি ধারা কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ফাতেমা জোহরা নামে এক নারীর রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ রুল জারি করেন।

বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম, ব্যারিস্টার রেশাদ ইমাম, ব্যারিস্টার আরেফিন আশরাফ, ব্যারিস্টার জারিফ মোহাম্মদ জুবায়ের, ব্যারিস্টার তাসনিম ফেরদৌস ও ব্যারিস্টার নারিদা নাবিন খান।

পরে ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম জানান, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইনে দাতা হিসেবে নিকটাত্মীয়দের কথা বলা আছে। আর নিকটাত্মীয় বলতে বাবা-মা, ভাই-বোন, চাচা, ফুফু, মামা ও স্বামী-স্ত্রীকে বলা হয়েছে। কিন্তু ভারতে এ বিষয়ক আইনে নিকটাত্মীয়ের সংজ্ঞায় ওই কজন ছাড়াও নানা-নানী, দাদা-দাদী, খালাতো, মামাতো, চাচাতো ভাইবোনের কথা বলা আছে। এছাড়া ভারতের আইনে বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষ পরিস্থিতিতে নিকটাত্মীয় ছাড়াও অন্যরা দাতা হতে পারবেন। এক্ষেত্রে ওই আইনে নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে কারা বিশেষ পরিস্থিতিতে দাতা হতে পারবেন।

তিনি বলেন, ভারতের আইনে দাতাকে ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী হতে হবে। মেডিকেল বোর্ডের ছাড়পত্র নিতে হবে। কিন্তু আমাদের আইনে এর পরিধি সংকুচিত করে রাখা হয়েছে। তাছাড়া ১৯৯৯ সালের আইনে এ বিষয়ে বিধি করার কথা বলা আছে। কিন্তু আজও বিধি করা হয়নি। এসব কারণে রিট আবেদন করা হয়।

তিনি জানান, মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন-১৯৯৯ সালের তিনটি (২গ, ৩ ও ৬) ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। একইসঙ্গে ওই আইনে বিধি প্রনয়ণের বিধান থাকলেও তা না করায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আরকে/ডব্লিউএন