ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৪ ১৪৩১

অন্ধকারে স্মার্টফোন চালালে ঝুঁকি বাড়ে অন্ধত্বের

প্রকাশিত : ০৬:৫৯ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০৩:৫৩ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সোমবার

রাতের অন্ধকারে মোবাইল ফোন নিয়ে নড়চড়ার অভ্যেস অনেকের আছে। কিন্তু এই আলো-আঁধারিতে আপনার চোখের যে বারোটা বাজছে সে ব্যাপারে আপনি কতটা সচেতন? এছাড়া অতিরিক্ত মাত্রায় স্মার্টফোনের নীল আলোয় অন্ধত্বের ঝুঁকি বাড়ে।

মোবাইলে চোখ, কী বোর্ডে আঙুল দিনভর। এমন কি রাতভর ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ছাড়াও রকমারি অ্যাপ,  যন্ত্রণা। দিন পেরিয়ে রাত নামলেও মোবাইলের বিরাম নেই। হাত-মাথা সদাব্যস্ত।

রাতে বিছানায় আলো নিভিয়েও হাতে স্মার্টফোন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঁকিঝুঁকি।

কিন্তু এর পরিণাম ভয়াবহ। অন্ধকারে স্মার্টফোনের আলো অন্ধত্ব পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

`আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি`র সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, স্মার্টফোনের নীল আলোর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব মারাত্মক। মেলাটোনিন হরমোন উত্পাদনে বাধা দেয় এই আলো। এই হরমোনের প্রভাবে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। মস্তিষ্ক তখন ভাবতে শুরু করে, সকাল হয়ে গেছে।

এছাড়া, রাতের অন্ধকারে দীর্ঘসময় স্মার্টফোনের ব্যবহারের ফলে রেটিনার ওপর প্রভাব পড়তে শুরু করে। রেটিনা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেলে পরিনাম অন্ধত্ব।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, মোবাইল ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকার সময় চোখের পলক কম পড়ে। স্বাভাবিকের তুলনায় স্মার্টফোন চোখের খুব কাছে এনে ব্যবহার করা হয়। এর থেকে নির্গত আলো শুধু ক্ষতিকরই নয়, বিষাক্তও।

অন্ধকারে স্মার্টফোনের নীল আলো বেশিমাত্রায় চোখে ঢুকলে ঘাড়ে ব্যথা, মাথাব্যথা বা মাইগ্রেনের মতো সমস্যা বাড়ে। এছাড়া মুঠোফোনে দীর্ঘসময় মেসেজ টাইপ করতে থাকলে আঙুলের জয়েন্টগুলোতে ব্যথা হতে পারে। আর্থ্রারাইটিসের মতো রোগ হতে পারে। 

তাই, চিকিৎসকদের পরামর্শ, রাতের অন্ধকারে স্মার্টফোন ব্যবহার ছাড়তেই হবে। খুব প্রয়োজনে আলো জ্বেলে মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। সূত্র: জি নিউজ

কেআই/ডব্লিউএন