ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

প্রাথমিকে উপবৃত্তি পাবে আরও ১০ লাখ শিক্ষার্থী

প্রকাশিত : ১০:৫৮ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:৩৬ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০১৭ মঙ্গলবার

প্রাথমিক পর্যায়ে ঝরে পড়া রোধে আরো ১০ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তির আওতায় আনছে সরকার। ফলে এ স্তরে উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়াবে ১ কোটি ৪০ লাখ। বাড়তি শিক্ষার্থী যোগ হওয়ায় এ খাতে ব্যয়ও বাড়ছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। এ লক্ষে ‘প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্প-৩য় পর্যায় (১ম সংশোধিত)’প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৬ হাজার ৯২৩ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তির প্রকল্পসহ মোট ৯টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৩৩১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এর পুরোটাই বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থায়ন করা হবে।

বৈঠকশেষে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্পের আওতায় দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে ঝরে পড়া রোধ এবং সাক্ষরতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। এজন্য ব্যয় ও সুবিধাভোগির সংখ্যা বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

তিনি জানান, প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্প-৩য় পর্যায় (১ম সংশোধিত) এর মূল প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ ছিল জুলাই ২০১৫ থেকে জুন ২০১৭ পর্যন্ত। পরে একে সংশোধন করে বাস্তবায়নকাল জুলাই ২০১৫ থেকে ডিসেম্বর ২০১৯ করা হয়েছে। এতে মূল প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৩ হাজার ৬৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৬ হাজার ৯২৩ কোটি ৬ লাখ টাকা করা হয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাসহ দেশের সকল উপজেলার প্রাথমিক পর্যায়ের (প্রাক প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রচলনকৃত ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণীসহ) ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। মূল প্রকল্পে সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৩০ লাখ।

প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী শিশুদের ভর্তির হার ও উপস্থিতি বৃদ্ধি, ছাত্র-ছাত্রীদের ঝরে পড়া রোধ ও প্রাথমিক শিক্ষাচক্র সমাপ্তির হার বৃদ্ধি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী শিশুদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের ক্ষেত্রে সমতা আনয়নের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান্নোয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্ত জোরদার করা।

আরকে/টিকে