ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘জঙ্গি’ আব্দুল্লাহসহ ৭ জন পুড়ে কয়লা

প্রকাশিত : ০৪:১৪ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ০২:৫০ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার

মিরপুরের মাজার রোডের বাঁধন সড়কের বর্ধনবাড়ি এলাকার ভাঙ্গাওয়াল গলির ছয়তলার ‘জঙ্গি আস্তানা’থেকে দুই শিশু সন্তানসহ ‘জঙ্গি’আব্দুল্লাহ এবং তার দুই স্ত্রী ও দুই সহযোগীর পুড়ে কয়লা হওয়া বিকৃত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বোমা বিস্ফোরণের কারণে বাড়িটির পঞ্চমতলা অনেকটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বুধবার বিকাল ৩টা ১৮ মিনিটে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের পুড়ের যাওয়া লাশ উদ্ধারের কথা জানান।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে পরপর তিনটি বড় ধরনের বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে প্রায় ৫০০ মিটার বেগে বিস্ফোরক পদার্থগুলো চারিদিকে ছিটকে পড়ে। এতে ভবনের পঞ্চমতলার জানালার থাইগ্লাস ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। পঞ্চমতলার মেঝেতে ফাটল তৈরি হয়। ওই ফাটল দিয়ে পঞ্চমতলার ‘জঙ্গি আস্তানায়’ রক্ষিত কেমিক্যাল চতুর্থতলায়ও ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের পর ওই কেমিকেলে আগুন লেগে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওই আগুনে ‘জঙ্গি’ আব্দুল্লাহ’সহ তার দুই সহযোগী, দুই স্ত্রী ও দুই সন্তানও পুড়ে কয়লা হয়ে যায়।

র‌্যাব ডিজি আরও বলেন, পুড়ে যাওয়ার কারণে চোখে দেখে নিহতদের কাউকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। ফরেনসিক পরীক্ষা ছাড়া তাদের শনাক্ত করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে পঞ্চম তলায় বিস্ফোরণের পর ২/২ ফুট গর্ত হয়ে আগুন চার তলায় ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভবনটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। চার তলা পর্যন্ত পরিষ্কার করা হয়েছে। পাঁচতলার তাপমাত্রা এখন অনেক বেশি। ৫০-৫৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রয়েছে সেখানে। বেশিক্ষণ সেখানে থেকে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই পুরো পঞ্চম তলা  পরিষ্কার করতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে। সেখানে থাকা সব বিস্ফোরকের বিস্ফোরণ হয়েছে।

বেনজীর আহমেদ বলেন, ২০০৫ সালে জেএমবির সঙ্গে যুক্ত হয় জঙ্গি আবদুল্লাহ।পরে ২০১৩ সালে তিনি নব্য জেএমবির সঙ্গে যুক্ত হন। তার বাসায় জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া হতো। এছাড়া তিনি জঙ্গিদের অর্থের যোগান দিয়েছেন। ওই বাসায় সরোয়ার জাহান, তামিম চৌধুরীর যাতায়াত ছিল। সরোয়ার-তামিম গ্রুপের একজন শুরা সদস্য কারাগারে বন্দি আছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই আবদুল্লাহর নাম জানতে পেরেছিল র‍্যাব। বছর খানেক ধরেই তারা আবদুল্লাহকে খুঁজছিল। অবশেষে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়। ফলে বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচানো সম্ভব হলো। তার বাসায় যে পরিমাণ বিস্ফোরক ছিল তা দিয়ে বড় ধরনের নাশকতা চালানো সম্ভব হতো।

র‍্যাবের ফরেনসিক টিমের একজন সদস্য বলেন, পঞ্চম তলার রুমের ফ্ল্যাটের তিন রুমে মৃতদেহগুলো ছড়ানো ছিটানো ছিল।

আজ বুধবার সকাল থেকে জঙ্গি আস্তানায় দ্বিতীয় দিনের অভিযান শুরু করে র‍্যাব।

 

ডব্লিউএন