ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

এমসিকিউ উঠিয়ে দেয়ার পক্ষে শিক্ষাসচিব

প্রকাশিত : ০৫:৪৩ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৭:৩১ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ বৃহস্পতিবার

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) উঠিয়ে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। সচিবালয়ে নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞানের ছয়টি বইয়ের পরিমার্জিত সংস্করণ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার সচিব এ মতামত জানান।

তিনি বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এমসিকিউ পরিপূর্ণভাবে উঠিয়ে দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত তবে আগামীতে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে এটি নিয়ে বসব।

প্রসঙ্গত, এবার থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় এমসিকিউ অংশ থেকে ১০ নম্বর কমিয়ে তা সৃজনশীল অংশে যোগ করা হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষা শুরুর পর প্রথমেই নেওয়া হচ্ছে এমসিকিউ অংশের পরীক্ষা।

সোহরাব হোসাইন বলেন, আমাদের কাজ নিয়ে সমালোচনা হয়, প্রশ্নপত্র নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়। কেউ কেউ এমনও মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী, সচিব বা উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন আউট করেন। কিন্তু অবাক হলেও সত্য যে, বোর্ডের চেয়ারম্যানেরও প্রশ্নপত্র দেখার সুযোগ থাকে না। পরীক্ষার হলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে পরীক্ষা নেওয়া যায় কি না সে বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। তবে এতেও শিক্ষাবিদদের সহযোগিতা নিতে হবে।

এমসিকিউ প্রশ্ন তুলে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বিভিন্নভাবে পরীক্ষার সময় ওই কক্ষের সমস্ত ছাত্রছাত্রী যেন ত্রিশ মার্কস পেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করে দেন। এটা অর্থের বিনিময়ে হচ্ছে বলে আমাদের কাছে রিপোর্ট আসছে। এমসিকিউতে অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে যে, সবগুলো সাবজেক্টে আশির উপরে পেয়েছে, কিন্তু এমমসিকিউতে গিয়ে সাত বা আট পেয়েছে। সেখানে ১০ পাওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে।

সচিব বলেন, রাজধানীর রাজউক কলেজে লিখিত ও এমসিকিউয়ের নম্বরে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সেখানকার ১০ জন ছাত্র ফেল করেছে, কারণ তারা এমসিকিউতে ৭-৮ পেয়েছে। অবশ্য শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষক তাদের খাতা নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, ঢাকা বোর্ডকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলেছি। তারা কী ৩০ নম্বরের উত্তর দিয়ে ৮ পেয়েছে, নাকি ১০ নম্বরের উত্তর দিয়ে ৮ পেয়েছে। তারা কম পাওয়ার মত ছাত্র না।

মন্ত্রিসভায় উঠছে শিক্ষা আইন : সোহরাব হোসাইন বলেন, শিক্ষা আইনের খসড়া শিগগিরই মন্ত্রিসভায় তোলা হচ্ছে। এ আইনের অভাবে আমরা অনেক কিছু করতে পারি না, সেটি এ সপ্তাহে মন্ত্রিসভায় তোলার জন্য রেডি হয়ে গেছে। তবে কঠিন কিছু বিষয় আছে সেখানে, আপনাদের (শিক্ষাবিদ) সাহায্য লাগবে।

আর/ডব্লিউএন