ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

রোহিঙ্গা সংকট : পরিদর্শনে ইউএনএইচসিআর সহকারী কমিশনার

প্রকাশিত : ০৭:৪০ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৬:১৬ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ বুধবার

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নৃশংস অভিযানে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার নিন্দা জানানোর পরদিনই সেই পরিস্থিতি দেখতে এবার বাংলাদেশে এসেছেন বিশ্বসংস্থার শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সহকারী কমিশনার জর্জ ওকথ-ওবো।

মঙ্গলবার বিকালে ঢাকায় নেমেই ওকথ-ওবো অভ্যন্তরীণ একটি ফ্লাইটে কক্সবাজারে রওনা হন বলে সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয়ের তথ্য কর্মকর্তা জোসেফ ত্রিপুরা জানিয়েছেন।

তিনদিনের সফরের পুরোটা সময়ই সহকারী কমিশনার সেখানে রোহিঙ্গা শিবিরগুলো ঘুরে দেখবেন। বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফিরে তিনি এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও তার বৈঠক করার কথা রয়েছে। তিনি বাংলাদেশ সফর শেষে থাইল্যান্ড যাবেন; সেখানেও রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে জানান জোসেফ ত্রিপুরা।

গত ২৪ আগস্ট রাতে রাখাইন রাজ্যে পুলিশ পোস্ট ও সেনা ক্যাম্পে হামলার ঘটনার পর থেকে রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে চালানো হচ্ছে হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ। যারা প্রাণে বেঁচে গেছেন, তারা ছুটে আসছেন বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে।

গত কয়েক দশক ধরে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গার ভার বহন করে আসা বাংলাদেশে এই দফায় গত দুই সপ্তাহে ৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গা ঢুকেছে বলে জাতিসংঘের হিসাব।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের গ্রামে গ্রামে যা ঘটছে তাকে জাতিগত নির্মূল অভিযানের একটি ‘ধ্রুপদী উদাহরণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার যাইদ বিন রাআদ আল হুসাইন। সোমবার জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলে দেওয়া বক্তব্যে মিয়ানমারে নৃশংস সেনা অভিযানের তীব্র নিন্দা জানান তিনি।

রাখাইনে চলমান সেনা অভিযানে নির্বিচার বলপ্রয়োগের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূলের চেষ্টা চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এই শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বার বার আহ্বান জানানো হলেও মিয়ানমার তাতে সাড়া দেয়নি। রোহিঙ্গাদের নিজেদের নাগরিক হিসেবে মেনে নিতেও তারা রাজি নয়।

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে নাগরিকত্ব দিয়ে নিরাপদে বসবাস করার সুযোগ করে দিতে মিয়ানমারের ওপর কূটনৈতিক চাপ দেওয়ার একটি প্রস্তাব সোমবার বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।

রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়টি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সামনের অধিবেশনে তোলার কথা বলেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং ক্যাম্পে গিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখেও এসেছেন তিনি।

আরকে/ডব্লিউএন