ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

জিলান্ডিয়া : পৃথিবীর ‘ডুবন্ত’ মহাদেশ

প্রকাশিত : ১১:২২ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ১০:৪৭ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০১৭ শুক্রবার

পৃথিবীর বর্তমান ৭টি মহাদেশের বাইরে আরও একটি মহাদেশ আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এটি অষ্ট্রেলিয়া মহাদেশের প্রায় তিনভাগের দুইভাগের সমান। ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার আয়তনের নতুন এই মহাদেশের ৯৪ ভাগই পানির নিচে। নতুন মহাদেশটির বেশিরভাগই দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর ঘিরে অবস্থিত। দ্বীপরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ড থেকে এটি কাছাকাছি হওয়ায় নতুন এ মহাদেশকে `জিলান্ডিয়া` নামে অভিহিত করা হয়েছে। এটিকে পৃথিবীর লুকায়িত বা ডুবন্ত মহাদেশও বলছেন বিজ্ঞানীরা।

যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী প্রশান্ত মহাসাগরে নয় সপ্তাহ ভ্রমণের পর বুধবার অষ্টম মহাদেশের তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিকাল সোসাইটির গবেষণায় এমন ইঙ্গিত মিলেছিল।



বিজ্ঞানীদের ধারণা, প্রায় ৮ কোটি বছর আগে এই অঞ্চলটি পানির উপরে ছিল এবং সেখানে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর বসবাস ছিল। মহাদেশ হওয়ার জন্য যেসব উপাদান থাকা দরকার পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট এই মহাদেশে তার সবই আছে বলে জানান বিজ্ঞানীরা। এটি নিউজিল্যান্ড, ক্যাথাম উপদ্বীপ ও নি্‌উ ক্যালোনোডিয়া অঞ্চল ঘিরে অবস্থিত। এর এলাকা চিহ্নিত। এক সময় মানব জাতির বসবাসের চিহ্নও পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন প্রায় ৮ কোটি বছর আছে এই মহাদেশটি অষ্ট্রেলিয়া মহাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এক সময় এটি পানিতে তলিয়ে যায়।



সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সাইন্স ফাউন্ডেশন (এনএসএফ)-এর বিজ্ঞানীদের ৩২ সদস্যের একটি দল `গবেষণা জাহাজ`-এ করে প্রায় দুই মাস ওই অঞ্চল ভ্রমণ করে। ভ্রমণ শেষে তারা এসব তথ্য প্রকাশ করেন।

এনএসএফ`র প্রশান্ত মহাসাগর বিভাগের প্রোগ্রাম পরিচালক জামিয়া আল্লান এক বিবৃতে মহাদেশটি প্রায় ৬ কোটি বছর আগে পানির নিচে তলিয়ে যেতে শুরু করে বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিজ্ঞানীদের এই অভিযানটি পৃথিবীর ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে পৃথিবীর ইতিহাস, পর্বত গড়ে ওঠার তথ্য এবং ভূখণ্ডের অভ্যন্তরের প্লেটের গঠন পদ্ধতি সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য পাওয়া যাবে।

জিলান্ডিয়ার বেশিরভাগ এলাকা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার পানির নিচে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এক সময় এতে বসতি গড়ে উঠবে বলেও ভবিষ্যতবানী করছেন বিজ্ঞানীরা।


সূত্র : সিএনএন, হিন্দুস্তান টাইম্স ও দ্য টেলিগ্রাফ।
//এআর