ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

রাখাইন সফর শেষে বিবিসি

রাখাইনে গণহত্যা ও গণধর্ষণ হয়েছে

প্রকাশিত : ০৮:৩৪ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:৪৯ এএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৭ বুধবার

মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা নারীদের গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিবিসির এক প্রতিবেদক। সম্প্রতি মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির রাখাইন রাজ্যে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কয়েকজন কর্মীকে নিয়ে সফরে যাওয়ার পর পরই বিবিসির এক প্রতিবেদক এই অভিযোগ করেন।

গত ৫ সেপ্টেম্বর একদল বিদেশি সাংবাদিককে সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে রাখাইনে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছিল দেশটির সরকার। সাংবাদিকদের ওই দলে ছিলেন বিবিসির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জোনাথন হেড।

সফরকালে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় এখনো যারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে পারেনি, তাদের সঙ্গে আলাপ করেন বিবিসির এই প্রতিবেদক। শুধু গণহত্যাই নয়, আটকেপড়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে তিনি আরও জানান, দেশটিতে ব্যপকমাত্রায় গণহত্যা চালিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

বিবিসির ঐ প্রতিবেদকের কাছে দেওয়া সাক্ষাতকারে এক রোহিঙ্গা নারী দাবি করেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নদীর তীরে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে । পরে নারীদের উলঙ্গ করে গণধর্ষণ করে। বিবিসির কাছে দেওয়া সাক্ষাতকারে ঐ নারী দাবি করে, রোহিঙ্গারা তাকে গণধর্ষণ করেছে । পরে তার কোলের সন্তানকে কেঁড়ে নিয়ে মাঠিতে ছুঁড়ে ফেলে হত্যা করে।

“২০১৭ সালের ৩০ আগস্ট রাখাইন প্রদেশের তুলোতুলি গ্রামে প্রবেশ করে, চারদিকে গুলি করতে থাকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এসময় রোহিঙ্গারা এদিক সেদিক পালাতে থাকে।তাদের হামলায় অসংখ্য মানুষ নিহত হন । আর যারা বেঁচে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে নারীদের গণধর্ষণ করে মিয়ানমার সেনাবাহিনিী, নির্যাতিত রোহিঙ্গা সোলাইমান বিষয়টি বিবিসিকে বলেন।

সোলাইমানের তিন কন্যা ও স্ত্রীর সবাইকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। সোলাইমানের বর্তমান কন্যার বয়স তিন বছর । তার মাকে ছাড়া তার কি হবে, বলে কাঁদতে থাকেন তিনি।

সূত্র: বিবিসি

এমজে/