ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

জামায়াতের চিহ্নিতরা নির্বাচন করতে পারবে না: ইসি

প্রকাশিত : ০৮:৪৫ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের চিহ্নিত নেতাদের গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যলয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

হাইকোর্টের আদেশে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের নিবন্ধন বাতিল করায় তাদের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, যুদ্ধাপরাধের দায়ে তাদের অনেকের বিচার হয়েছে। তো তাদের যদি কোনো সংসদ সদস্য বা কোনো নেতা অন্যকোনো দলে বা স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচনে আসে সেটা গ্রহণ করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা আমি কেমন করে বলবো। তবে জামায়াতে ইসলামীর চিহ্নিত যারা আছেন, তাদেরকে আমরা নির্বাচনে গ্রহণ করবো না।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বতন্ত্র হিসেবেও যদি জামায়াতের কেউ নির্বাচনে আসতে চায় তাহলে নির্বাচন কমিশনের মিটিংয়ে তাদেরকে ইন্ডিভিজুয়ালি তাদের বিষয়টা বিচার বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেবো।’

প্রসঙ্গত, যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের দণ্ড হওয়ার পর দলটির নিবন্ধন বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট। স্বাভাবিক কারণেই দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না জামায়াত নেতারা। এরও আগে নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লাকে মার্কা হিসেবে ব্যবহার না করার নির্দেশ দেন আদালত। আর দলটির মার্কা দাঁড়িপাল্লা।

সর্বশেষ জামায়াত নেতারা স্বতন্ত্র কিংবা ২০ দলীয় জোটের প্রধান বিএনপির হয়ে কোনো কোনো আসনে নির্বাচন করতে পারে বলে শোনা যাচ্ছিল। তার মধ্যেই এ ধরনের কথা বললেন নির্বাচন কমিশনার।

১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর চূড়ান্ত স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ৷ সেই সময় জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল৷

২০১০ সালে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এ পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

 

এসএইচ