ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতার আশা সু চির

প্রকাশিত : ০২:০৪ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৭:২৯ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার

বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার মধ্যে দিয়ে চলতি সপ্তাহেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রশ্নে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আশা করছেন মিয়ানমারের নোবেল বিজয়ী স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি। নেপিদোতে এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলোর জোট-আসেমের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের শেষ দিন আজ মঙ্গলবার এ কথা বলেন তিনি।

বুধ ও বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক হবে বলেও জানান সু চি। সু চি বলেন, আমরা আশা করছি এই আলোচনার ফলাফল হিসেবে শিগগিরই একটি সমঝোতা স্মারক সই করা সম্ভব হবে যাতে বাংলাদেশে যাওয়া সবাইকে নিরাপদে ফেরানোর ব্যবস্থা করা যায়।

এর আগে সোমবার আসেম সম্মেলনে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনা হয়। এশিয়া ও ইউরোপের ১৫টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ের রাখাইনে সহিংসতা বন্ধ করে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফিরিয়ে নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন তারা।

অনানুষ্ঠানিক ওই ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন এবং সম্মেলনের ফাঁকে কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের মন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন।

মাহমুদ আলী বলেন, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ইউরোপীয় দেশগুলোর কাছ থেকে সঙ্কট সমাধানে সেহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছেন তিনি। মিয়ানমারের নেত্রী অং সাং সু চির সঙ্গে বুধবার বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের বৈঠক রয়েছে। সেখানেও রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনা হবে। অগাস্টের শেষ দিকে রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত সোয়া ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ এই অভিযানকে চিহ্নিত করেছে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে।

পশ্চিমা অধিকার সংগঠনগুলো সু চিরও সমালোচনা করে আসছে। তারা বলছে, সু চির সরকার রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধে যথেষ্ট কঠোর অবস্থান নিতে পারেনি।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে গত মাসে আলোচনা শুরু হলেও শর্ত নিয়ে এখনও সমঝোতায় আসতে পারেনি দুই দেশ।

 

সূত্র : রয়টার্স

এমআর