ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধে শিক্ষকদেরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে : ড.আনিসুজ্জামান

প্রকাশিত : ০৫:৪৯ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৬:১৭ পিএম, ৫ ডিসেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার

৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি স্বাধীনতার সূর্যের দেখা পেয়েছে। দীর্ঘ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সগৌরবে ঊর্ধ্বাকাশে নিজের অস্তিত্বকে জানান দিয়েছে।

বাংলাদেশ এরইমধ্যে বিজয়ের ৪৫ বছর উদযাপন করেছে। তরুণ-যুবাসহ সব বয়সীরা কাঁধে কাঁধ রেখে দেশকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রতীতি নিয়ে নিরন্তর সংগ্রাম করে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামী বীরযোদ্ধারা সমশক্তিতে তাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন।

বিজয়ের ৪৬ বছর পূর্তি উৎসবের নিকটতম এই ক্ষণে যুদ্ধদিনের স্মৃতিকথা, স্বাধীনতাসহ এদেশের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম, শিল্প-সংস্কৃতি বাংলা সাহিত্যের অগ্রগতির নানা দিক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটাস অধ্যাপক . আনিসুজ্জামান। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন একুশে টেলিভিশন অনলাইনের জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক দীপংকর দীপক

একুশে টিভি অনলাইন : আগামীকাল (১ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে বিজয়ের মাস। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এ মাসেই আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতার সাধ আস্বাদন করতে পেরেছিলাম। বিজয়ের ৪৬ বছর পূর্তি উৎসবের নিকটতম এ ক্ষণে আপনার অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাই।

. আনিসুজ্জামান : বিজয় দিবস উপলক্ষে সবাইকে অগ্রিম সংগ্রামী শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। প্রকৃতপক্ষে ডিসেম্বর আমাদের প্রাপ্তির মাস, গর্বের মাস, অহংকারের মাস। আমরা একটা স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ চেয়েছিলাম, এ মাসেই তা পেয়েছি। তাই ডিসেম্বর এলেই মনটা দ্বিগুণ আনন্দে ভরে উঠে। বরাবরের মতো এবারের বিজয়ের মাসেও আমার অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। আশা করি, আমরা অচিরেই বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে দেখতে পাবো। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হৃদয়ে লালন করে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাবো। 

একুশে টেলিভিশন অনলাইন : টানা ৯ মাস যুদ্ধ করে আমারা স্বাধীনতা লাভ করেছি। মুক্তিযুদ্ধে আপনারও বিশেষ অবদান রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে কীভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন?

. আনিসুজ্জামান : ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর থেকেই পাকিস্তানী শাসকরা পূর্ব বাংলার মানুষের ওপর নিপীড়ন চালাতে শুরু করে। এক সময় বাঙালি সমাজ প্রতিবাদী হয়ে উঠে। পূর্ব বাংলাকে শোষণমুক্ত করতে স্বাধীনকামীরা গর্জে উঠে। চারদিকে তুমুল আন্দোলন শুরু হয়। শক্ত হাতে এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শুরু থেকেই আমি আন্দোলনের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা করি। ১৯৭১ সালে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে এ আন্দোলন আরও বেগবান হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণে অনানুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ওই সময় আমি চট্টগ্রামে ছিলাম। তাই ওই দিন আমার ঐতিহাসিক এ ভাষণ শোনার সৌভাগ্য হয়নি। পরের দিন আমি ভাষণটি শুনতে পাই। বঙ্গবন্ধুর অগ্নিকণ্ঠ আমাকে শিহরিত করে। মূলত এ ভাষণ-ই আমাকে মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি ভূমিকা রাখার বিষয়ে উদ্দিপ্ত করে। আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসাবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করেছে। এমন স্বীকৃতিতে আমার বুক গর্বে ভরে উঠেছে।

একুশে টেলিভিশন অনলাইন : ১৯৭১ সালে পাকিস্তানীদের অত্যচারের কথা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি’ গঠিত হয়েছিল। আপনি এ সংগঠন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাই?

. আনিসুজ্জামান : মুক্তিযুদ্ধের সময় পূর্ব বাংলার এক কোটির মতো মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। এদের মধ্যে আমার মতো অনেক শিক্ষকও ছিলেন। আমরা অনুধাবন করলাম, মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিশেষ ভূমিকা রাখা আবশ্যক। শিক্ষকদের সংগঠিত করে পূর্ব বাংলার স্বপক্ষে বিশ্ববাসীর সমর্থন আদায়সহ মুক্তিযুদ্ধের সহায়ক শক্তি হয়ে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। সেই ভাবনা থেকেই ১৯৭১ সালের মে মাসে ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ব্যানারে নিজেদের সংগঠিত করি। আমরা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমবেত হয়ে এ সমিতি গঠন করি। সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ড. আজিজুর রহমান মল্লিক। ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি’ নানা কর্মসূচি ও কার্যক্রম হতে নিয়েছিল। এগুলো হচ্ছে- শরণার্থী শিক্ষদের পুনর্বাসন, মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা প্রদান, বহির্বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন ও বাংলাদেশ সম্পর্কিত পুস্তিকা প্রকাশ। আমরা সাধ্যমতো আমাদের কার্যক্রম ও কর্মসূচি সফল করতে চেষ্টা করেছি। 

একুশে টেলিভিশন অনলাইন : মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে ভারতের কোথায় কোথায় প্রচারণা চালিয়েছিলেন?

. আনিসুজ্জামান : আমি উত্তর ভারতে দীর্ঘ সময় প্রচারণা চালিয়েছি। এলাহবাদ, আলিগড়,  লক্ষ্নৌর পাশাপাশি দিল্লিতেও গিয়েছি। তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছেও গিয়েছিলাম। তার কাছে মুক্তিযুদ্ধের চিত্রপট তুলে ধরেছি। পাকিস্তানীদের অত্যাচারের কথা বর্ণনা করেছি। সর্বোপরি বলতে হবে, মুক্তিযুদ্ধে শিক্ষকদেরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান  রয়েছে।

একুশে টেলিভিশন অনলাইন : বাংলা ভাষা-সাহিত্য উন্নয়ন ও রক্ষায় আপনি বিভিন্ন আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে রবীন্দ্র উচ্ছেদবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ আন্দোলন করতে গিয়ে পাকিস্তান সরকারের কতটা রোষানলে পড়তে হয়েছে।

. আনিসুজ্জামান : কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বাদ দিয়ে বাংলা সাহিত্য কল্পনাও করা যায় না। কিন্তু পাকিস্তান সরকার বারবার রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকে অবমূল্যায়ন করেছে। ১৯৬৭ সালে তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, রবীন্দ্র সৃষ্টিকর্ম পাকিস্তানের আদর্শ বিরোধী। তাই পাঠ্যসূচিতে তার লেখা থাকবে না। আমরা সাহিত্যপ্রেমীরা এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছি। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ পূর্ব বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলেছি। পাকিস্তান সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ১৯৬৮ সালে ‘রবীন্দ্রনাথ’ নামে একটি সংকলন প্রকাশ করেছি। প্রতিটি আন্দোলন করতে গিয়েই পাকিস্তান সরকারের রোষানলে পড়তে হয়েছে। তাই বলে আমাদের আন্দোলনের গতি থেমে যায়নি, বরং বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

একুশে টেলিভিশন অনলাইন : বাংলা সাহিত্যকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করতে অনুবাদ সাহিত্যের প্রতি কতটা জোর দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন?

. আনিসুজ্জামান : সাহিত্যের অগ্রযাত্রায় অনুবাদের বিকল্প নেই। বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারের তুলে ধরতে ইংরেজির পাশাপাশি পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় ভাষায় দেশিয় লেখকদের লেখা অনুবাদ করতে হবে। আমাদের লেখা যত বেশি ভাষায় অনূদিত হবে, বিশ্বের তত বেশি মানুষ বাংলা সাহিত্যকীর্তি সম্পর্কে জানবে। পাশাপাশি বিদেশি লেখকদের লেখাও বাংলা ভাষায় বেশি করে অনুবাদ করতে হবে। তবে অনুবাদ অবশ্যই মানসম্পন্ন হবে। আমার মতে, কায়সার হক, ফখরুল আলম, ওসমান জামান ও সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম অনুবাদে বেশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। অনুবাদের ক্ষেত্রে তরুণশ্রেণির তাদের অনুসরণ করা উচিত।

একুশে টেলিভিশন অনলাইন : যতদূর জানি, আপনি শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতিমনা একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সেখান থেকেই বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও সাহিত্যের প্রতি আপনার অসীম ভালোবাসা ও অনুরাগ তৈরী হয়। এই বয়সে এসেও বাংলা ভাষা ও সাহিত্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। আপনার পরিবারের সদস্যদের সাহিত্যচর্চার কথা একটু জানতে চাই।

. আনিসুজ্জামান : একটি সংস্কৃতমনা পরিবারে জন্মগ্রহণ করাকে আমি আমার সৌভাগ্য হিসাবেই দেখছি। আমার দাদা শেখ আবদুর রহিম ছিলেন একজন লেখক ও সাংবাদিক। উনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে তার বেশ নামডাক ছিল। তিনিই সর্বপ্রথম বাংলা ভাষায় হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে বই লিখেছিলেন। তাছাড়া তিনি বেশ কয়েকটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘মিহির ও সুধাকর’, ‘সূর্যচাঁদ’, ‘মুসলিম হিতৈষী’ প্রভৃতি। আমার মা সৈয়দা খাতুনও সাহিত্যপ্রেমী ছিলেন। তিনি ‘হাতেমতাই’ নামে একটি বই লিখেছিলেন। তবে বইটির প্রকাশ ও সম্পাদনার ক্ষেত্রে বেনজির আহমেদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এ ছাড়া আমার বড় বোনও নিয়মিত কবিতা লিখতেন।   

একুশে টিভি অনলাইন : তরুণ প্রজন্মের প্রতি আপনার কী পরামর্শ থাকবে?

. আনিসুজ্জামান : তরুণ প্রজন্মের প্রতি আমার দুটি কথা বলার আছে। প্রথমটা হচ্ছে-  ইতিহাসের গভীরতা ও সত্যতা পরিপূর্ণভাবে জানতে হবে। দ্বিতীয়টা- মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও আদর্শকে হৃদয়ে লালন করতে হবে। ব্যক্তিস্বার্থের বাইরে গিয়ে সবাইকে জনকল্যাণে কাজ করতে হবে। তবেই এ দেশ শক্তিশালী ও সমৃদ্ধশালী হিসেবে বিশ্বের দরবারে সুপরিচিত হয়ে উঠবে।  

‘‘শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পুরোধা অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। পুরো নাম আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান। ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা ডা. এটিএম মোয়াজ্জেম পেশায় একজন বিখ্যাত হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার ছিলেন। মা সৈয়দা খাতুনও ছিলেন একজন সাহিত্যানুরাগী। তার শৈশব-কৈশোরের বেশির ভাগ সময় কলকাতায় কেটেছে। ’৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকায় আসেন। ড. আনিসুজ্জামান প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় প্রচণ্ড মেধাবী ছিলেন। ১৯৫১ সালে নবাবপুর গভর্নমেন্ট হাইস্কুল থেকে প্রবেশিকা এবং ১৯৫৩ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। এর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৫৬ ও ১৯৫৭ সালে স্নাতক সম্মান এবং এমএতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। ১৯৫৮ সালে বাংলা একাডেমি থেকে পিএইচডি গবেষক হিসেবে বৃত্তি পান। মাত্র ২২ বছর বয়সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে এ্যাডহক ভিত্তিতে তিনমাসের জন্য যোগদান করেন। ১৯৬৯ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তিনি সেখানেই ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। ১৯৭৪-৭৫ সালে কমনওয়েলথ একাডেমি স্টাফ ফেলো হিসেবে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল এ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজে গবেষণা করেন। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রকল্পে কাজ করেন। ১৯৮৫ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি একই বিভাগে প্রফেসর ইমিরেটাস পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন।

. আনিসুজ্জামানের হাতে বাংলা গদ্যের প্রমিত উৎকর্ষমণ্ডিত আদর্শরূপ একটি মানদণ্ডে দাঁড়িয়েছে। বাংলা ইংরেজি উভয় ভাষায় তিনি বই লিখেছেন। বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, আলাওল সাহিত্য পুরস্কারসহ নানা সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। শিক্ষা সাহিত্য অবদানের জন্য ভারত সরকার তাকেপদ্মভূষণ সম্মাননায় ভূষিত করে।’’