ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

রোহিঙ্গা সমস্যা, মিয়ানমারকেই সমাধা করতে হবে

প্রকাশিত : ০৮:৫৯ পিএম, ৬ ডিসেম্বর ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ১০:৫২ পিএম, ৬ ডিসেম্বর ২০১৭ বুধবার

রোহিঙ্গা সমস্যা আমদের না। এটা একান্তই মিয়ানমারের সমস্যা। তাই তাদেরকেই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।

বুধবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশকে ভারতের কূটনৈতিক স্বীকৃতির ৪৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথীর বক্তব্য তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে এতো ভালো অবস্থানে যা অতীতে আর কোনো দিন ছিল না। প্রতিটি সেক্টরেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। কিছু সমস্যা থাকলেও সেগুলো আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। আামদের বিদ্যুতের সমস্যা ছিল আমরা এখন সেটা সমাধা করে ফেলেছি।

ভারতের সঙ্গে এ সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয় জওয়ানরাও এদেশের জন্য রক্ত দিয়েছে। তাদের আর আমাদের রক্ত মিলে একাকার হয়ে গেছে। এ বন্ধন ছিন্ন হওয়ার নয়। অনেকে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট করতে চাচ্ছে। কিন্তু তারা সেটা করতে পারবে না।

তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশ একি সূত্রে গাঁথা। আমাদের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে সেটা কেউ নস্যাৎ করতে পারবে না। আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী যে সহযোগিতা করেছিলেন সেটা ভূলবার নয়।

তার সঙ্গে ঐ সময় আমার দেখা হয়নি। কিন্তু বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি আমার নাম জেনেছেন। আমি ১৯৬৮ সালে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের দূতাবাসের কাজে যোগ দেই। ঐ সময় আমার বয়স ছিল মাত্র ২৫ বছর। সেখানে থেকেই আমি মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলনে যোগ দেই। দেশের জন্য কাজ করি।  

বর্তমানে রোহিঙ্গা সংকটের কথা বলতে গিয়ে মাহমুদ আলী বলেন, রোহিঙ্গারা ২ হাজার বছর আগ থেকে মিয়ানমারে বসবাস করছে। তারা সেখানকার বাসিন্দা। তবে মিয়ানমারে কোনো আদিবাসি নেই। তারা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এখানে এসেছে। তাদের মধ্যে বাংলা আছে, হিন্দি, পশতু, আরবি, বার্মিজ, পর্তুগিজ ভাষার লোকজনও আছে। আরাকান এক সময় একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল। সুতরাং এখন এসব বলার কোনো সুযোগ নেই যে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে তাদের দেশে গিয়েছে।

শাহরিয়ার কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ত করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। আরো উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল আবদুর রশিদ, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী প্রমুখ।     

 

 

 

এসি/