ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বেতন বৈষম্যের কথা বললেন সাকিব

প্রকাশিত : ০৯:০১ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৯:৪১ এএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার

সম্প্রতি মেলর্বোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) বার্ষিক সভা সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নিয়েছেন বিশ্বর সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সভায় অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেতন বৈষম্য কমানোর কথা বলেন।

এ সভায় অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গলবার ও বুধবার।

বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এমসিসি বার্ষিক সভায় নিমন্ত্রণ পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। এ সভায় সাকিব বলেন, বাংলাদেশের অসংখ্য তরুণ ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটকে আর তাঁদের লক্ষ্য হিসেবে দেখেন না। টেস্টের তুলনায় টি-টোয়েন্টি থেকে বেশি আয়ের সুযোগ থাকাই এর কারণ।

ওই সভায় যোগ দিয়ে এমসিসি কমিটিকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অশনিসংকেতের কথাই শুনিয়েছেন সাকিব।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে পাওয়া আয়ে ইংল্যান্ডের জনি বেয়ারস্টো আর সাকিবের বিপরীতমুখী অবস্থান তুলে ধরে এমসিসি। সেই সাথে সতর্ক বলেছে, আন্তর্জাতিক খেলায় ক্রিকেটারদের যে বেতনের বৈষম্য, তা কমানো না গেলে দেশের হয়ে খেলার আগ্রহ হারাবে ক্রিকেটাররা। স্পট ফিক্সিংয়ের মতো দুর্নীতিও কমানো যাবে না।

এমসিসি কমিটির সদস্য এবং অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং এ ব্যাপারে বলেন, ইংলিশ কিংবা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের আপনি জাতীয় দল ছেড়ে আইপিএল খেলতে দেখবেন না। এর কারণ তারা (বোর্ড) খেলোয়াড়দের সন্তোষজনক পারিতোষিক দিয়ে থাকে। তাই বছরের বেশির ভাগ সময় ধরে টেস্টে সেরা খেলোয়াড় পেতে ইংল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়ার কাছাকাছি চুক্তি নিশ্চিত করা উচিত। এতে তাঁদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার আগ্রহে ভাটা পড়বে না।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশভেদে খেলোয়াড়দের বেতন-ভাতার বিস্তর পার্থক্য রয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ গত বছর আয় করেছেন প্রায় ১৫ লাখ ডলার। অথচ এই একই সময়ে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমারের আয় ৮৬ হাজার ডলার! সাকিব অবশ্য ক্রেমারের চেয়ে বেশি আয় করেছেন। গত বছর ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার আয় করেছেন দেশসেরা এ ক্রিকেটার।

 

এম/টিকে