ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সু চিকে দুতার্তে

মানবাধিকার কর্মীদের পাত্তা দিওনা

প্রকাশিত : ১২:২৮ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ১২:৩১ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৮ শনিবার

‘দুজনই খুনের দায়ে অভিযুক্ত’। একজন নিজে খুনীদের উৎসাহিত করার জন্য দায়ী। অন্যজন তথাকথিত মাদক-পাচার বন্ধের নামে স্বয়ং হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। এদের একজন মিয়ানমারের একসময়ের ডি ফ্যাক্টো নেত্রীখ্যাত অং সান সু চি ও অপরজন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে।

এবার খুন বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলের চাপকে তোয়াক্কা না করার পরামর্শ দিয়েছেন ফিলিপাইনের বিতর্কিত নেতা ও দেশটির প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে। ভারতের নয়াদিল্লিতে ফিলিপিন্স-ভারত বিজনেস ফোরামে দেওয়া এক বক্তব্যে দুতার্তে এ মন্তব্য করেন। এসময় তিনি বলেন, মানবাধিকার কর্মীরা কেবলই ‘গলাবাজের দল’। তাদের হৈ চৈ নিয়ে সু চির মাথা ঘামানো উচিত না। এ সম্মেলনে দুই দেশের প্রধানই অংশ নিচ্ছেন।

দুতার্তে আরও বলেন, “আমরা আমাদের নিজেদের দেশের কথা বলছি, নিজ দেশের স্বার্থের কথা বলছি... এবং আমি বলছি মানবাধিকার কর্মীদের নিয়ে কিছু ভাববেন না। তারা আসলে গলাবাজের দল ছাড়া আর কিছুই না।” এসময় তিনি মানবাধিকার সংগঠনসহ আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠীর তীব্র সমালোচনা করেন। সু চির প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, সু চির জন্য আমার কষ্ট হয়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, তিনি আন্তর্জাতিক মহলর চাপে রয়েছেন। তবে এ চাপের কাছে মাথা নত না করাও দাবি জানান তিনি।

এদিকে রোহিঙ্গা নাগরিকদের ওপর চালানো গণহত্যা বন্ধে ব্যর্থ হওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে রয়েছেন সু চি। গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ায় সু চিকে বিশ্বের অনেক দেশ, প্রতিষ্ঠান ও দেশ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত করেছিলেন। তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বেশ কয়েকটি দেশ-বিশ্ববিদ্যালয়-প্রতিষ্ঠান সু চিকে দেওয়া পদক ফিরিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন দুতার্তে।

এর আগে সু চির মতো দুতার্তেও মানবাধিকার কর্মীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন। ফিলিপাইনে মাদক চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে ‘হত্যার’ নীতি চালিয়ে যাওয়ার কারণে তিনি বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হয়েছেন।

এমজে