ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য লাভজনক স্থান: বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১০:৫১ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:৫৬ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার

বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

মঙ্গলবার, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার, সিঙ্গাপুর আয়োজিত ‘সেমিনার টু প্রমোট ট্রেড এন্ড কমার্স বিটুইন বাংলাদেশ এন্ড সিঙ্গাপুর’ শীর্ষক বিজনেস সেমিনারে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য খুবই লাভজনক স্থান। সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতি ও পরিবেশ বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করছে। বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন পর্যাপ্ত দক্ষ জনশক্তি রয়েছে, এখানে কম খরচে বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এলে বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।’

তোফায়েল আহমেদ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার আইন প্রণয়ন করে সুরক্ষা দিয়েছে উল্লেখ করে বলেন, এখন বাংলাদেশে যে কোন বিনিয়োগকারী শতভাগ বিনিয়োগ করতে পারে, প্রয়োজনে লাভসহ সমুদয় অর্থ ফিরিয়ে নিতে পারে বিনিয়োগকারী।

মন্ত্রী বলেন, সরকার রপ্তানি বাণিজ্য প্রসারে বিভিন্ন দেশের সাথে এফটিএ স্বাক্ষর করছে। প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের সাথে এফটিএ করার চিন্তা করবে। বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক ট্যুরিস্ট সিঙ্গাপুরে আসে, বাংলাদেশও সিঙ্গাপুরের জন্য ভালো ট্যুরিস্ট স্পট হতে পারে। এ জন্য বাংলাদেশ সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করবে, যাতে সিঙ্গাপুরের ট্যুরিস্ট বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী হয়। এজন্য উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি বা দরিদ্র দেশের রোল মডেল নয়। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭১-৭২ অর্থবছরে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট ছিল ১৭৫ কোটি টাকা, আজ সেখানে জাতীয় বাজেট ৪ লাখ ২০৬ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ১৯৭২-৭৩ সালে ২৫টি পণ্য কয়েকটি দেশে রপ্তানি করে আয় করতো ৩৪৮.৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আজ বিশ্বের প্রায় ১৯৯টি দেশে ৭৪৪টি পণ্য রপ্তানি করে আয় করছে সার্ভিস সেক্টরসহ ৩৮.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

২০২১ সালে এ রপ্তানির পরিমান দাঁড়াবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি, রেমিটেন্স আসছে প্রায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের অর্থনীতি বিগত যেকোন সময়ের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ১৬১০ মার্কিন ডলার। আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবার সকল শর্ত বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পূরণ করেছে, কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার, সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট মো. শহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীগণ এবং সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশী ব্যবসায়ী প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। (সূত্র- বাসস)

কেআই/এসি