ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

সাইনবোর্ডে বাংলায় লেখা নিশ্চিতে ডিএনসিসির ভ্রাম্যমান আদালত

প্রকাশিত : ০৬:১৯ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৮ সোমবার

বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইংরেজিতে লেখা সাইনবোর্ডের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন(ডিএনসিসি)। সাইনবোর্ডে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করার এই অভিযানে আজ সোমবার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয় ডিএনসিসি’র অঞ্চল-১ এ।

অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খালিদ আহম্মেদের নেতৃত্বে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সকাল ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে সাইনবোর্ড বাংলা ভাষায় না লেখায় আজমপুর এলাকার ৫টি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে শান্তা-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি, রহিম আফরোজ, সি শেল, বাটা এবং আখতার ফার্নিচার। তাছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ করা হয়।

ডিএনসিসি থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হাইকোর্ট বিভাগের ১৬৯৬/২০১৪ নং রিট পিটিশনে প্রদত্ত আদেশ অনুযায়ী সকল প্রতিষ্ঠানের (দূতাবাস, বিদেশী সংস্থা ও তৎসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র ব্যতীত) নামফলক, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার ইত্যাদি বাংলায় লেখা বাধ্যতামূলক। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে হাইকোর্টের আদেশটি ডিএনসিসি এলাকায় নিশ্চিত করার দায়িত্ব ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়।

পরিপ্রেক্ষিতে জানুয়ারি মাসের ২৮ তারিখে দু’টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ডিএনসিসির এখতিয়ারাধীন এলাকার যেসব প্রতিষ্ঠানের (দূতাবাস, বিদেশী সংস্থা ও তৎসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র ব্যতীত) নামফলক, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার ইত্যাদি বাংলায় লেখা হয়নি তা অবিলম্বে স্ব-উদ্যোগে অপসারণ করে ৭ দিনের মধ্যে বাংলায় লিখে প্রতিস্থাপন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল।

তাছাড়া মাইকিং, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রেস রিলিজ প্রেরণসহ ডিএনসিসি-র ওয়েবসাইট এবং ফেইসবুক পাতায়ও গণবিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়। প্রায় সব কয়টি প্রধান প্রধান জাতীয় দৈনিকে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। হাইকোর্টের আদেশ এবং ডিএনসিসির গণবিজ্ঞপ্তি বাস্তবায়ন না করার অপরাধে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা হয়।

ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার প্রত্যেকটি নামফলক, সাইনবোর্ড ইত্যাদিতে বাংলা ভাষা নিশ্চিত করতে ডিএনসিসির উচ্ছেদ অভিযান ও ভ্রাম্যমান আদালত অব্যাহত থাকবে বলেও ঐ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

//এস এইচ এস// এআর