ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

মুক্তিযোদ্ধারা চাকরির সুবিধা পাবেন ৬১ বছর পর্যন্ত

প্রকাশিত : ০৮:১০ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০১৮ বৃহস্পতিবার

মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা বাড়ানো নিয়ে করা একটি রিট আবেদনের বিচার শেষে ‘গণকর্মচারী (অবসর) আইনে’ ২০১৩ আনা সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। হাইকোর্ট মনে করে মুক্তিযোদ্ধারা ৬০ বছরের পরিবর্তে ৬১ বছর পর্যন্ত সরকারি চাকরির সকল সুবিধা পাবে।

বুধবার এ রায় আসে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে।

এর আগে ২০১০ সালে ১৯৭৪ সালের গণকর্মচারী (অবসর) আইন সংশোধন করে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়স ৫৭ থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করে। তখন সরকারের অন্য কর্মকর্তাদের অবসরের বয়সসীমা ছিল ৫৭ বছর, যা পরে ৫৯ বছর করা হয়।

পরে এই প্রেক্ষাপটে একটি রিট আবেদন হলে ২০১৩ সালে আবারও আইন সংশোধন করে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬০ বছর করা হয়। সে অনুযায়ী বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়স ৬০ বছর। ওই বিধান চ্যালেঞ্জ করে গত বছর হাইকোর্টে দুটি রিট আবেদন করেন আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের মহা ব্যবস্থাপক মুক্তিযোদ্ধা তপন কুমার সাহা এবং সোনালী ব্যাংকের উপ মহাব্যবস্থাপক মশির উদ্দিন।

আদালতে রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম সিদ্দিকুর রহমান খান ও গাজী মোস্তাক আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এস এম নাজমুল হক।

রায়ের পর গাজী মোস্তাক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, “যে মুক্তিযোদ্ধারা এখনও সরকারি চাকরিতে আছেন, এ রায়ের ফলে তারা ৬১ পর্যন্ত চাকরির সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।”

তবে রিটকারীদের অপর আইনজীবী এ বি এম সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, “চাকরিতে থাকা মুক্তিযোদ্ধারা ৬১ বছর চাকরির সুবিধা পাবেন কিনা, সেখানে পর্যালোচনার বিষয় রয়েছে। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে চাকরির অবসরের বয়সসীমা ৬১ বছর করা উচিৎ ছিল মত দিয়ে ওই আইনের ৬০ বছরের সংশোধনী যেটা সরকার করেছিল, সেটা আদালত অবৈধ বলে বাতিল করেছে ”।

 এমএইচ/টিকে