ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

শাহজালার বিমানবন্দর : ভুল করার শাস্তি বই পড়া

প্রকাশিত : ০৯:৫১ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১১:১৫ এএম, ১৭ এপ্রিল ২০১৮ মঙ্গলবার

ঢাকার হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে কর্মচারীদের ভুল সংশোধনে বই পড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রজেক্ট টুকিটাকি নামে এই ব্যবস্থা চালু করেছে এয়ারপোর্ট ম্যাজিস্ট্রেট। শাস্তি হিসেবে বই পড়ে সেটির উপর লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় পাশ করলে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে।

পাশ করার পর যে বইটি পড়েছে তার একটি নতুন কপি এবং আরো নতুন একটি বইও লাইব্রেরিতে জমা রাখতে হবে। আগামীতে আবার এ ধরনের কাজ করলে, সেই দুটি বই পড়ে আবার পরীক্ষা দিতে হবে।

এয়ারপোর্ট বাংলাদেশ-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, সর্বোচ্চ সাতদিনের মধ্যে একটি বই পড়ে পরীক্ষা দিতে হবে, অনেকটা বুক রিভিউর মতো।

এই উদ্যোগ কি অপরাধীদের শাস্তি থেকে বাঁচিয়ে দিচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ইউসুফ গণমাধ্যমকে বলেন, অপরাধ করার পরে কিন্তু আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছিনা, ঠিকই জেল জরিমানা দিচ্ছি। তিনি বলেন, যে অপরাধে আমরা আগে শুধু সতর্ক করে ছেড়ে দিতাম, সেগুলো সংশোধনের জন্য বই পড়ার নিয়ম চালু করেছি।

তিনি জানান, এক মাসেরও কম সময়ে প্রায় অর্ধ-শতাধিক কর্মচারী এই নিয়মের আওতায় এসেছেন। শুরুতে প্রতিদিন দুই তিনজন অনিয়মে অভিযুক্ত হলেও প্রজেক্ট টুকিটাকি শুরু হওয়ার পর এখন সে হার কমে এসেছে।

ইউসুফ জানান, লুকিয়ে বইপড়া অনেকের কাছে বাড়তি একটা চাপ। হঠাৎ হাতে বই দেখলে কলিগরা বুঝে ফেলছে, বাসার লোকজন বুঝে ফেলছে, সে কোনো একটা অন্যায় করে ধরা পড়েছে।

যে ভুল গুলোর জন্য শাস্তি দেওয়া হচ্ছে সেগুলো হলো-

*যাত্রীদেরকে ট্রলি নিয়ে হয়রানি করা অথবা তাদের থেকে টাকা আদায়

*যাত্রীদের সাথে অশোভন আচরণ

*নির্দিষ্ট সীমারেখা বা জোন অতিক্রম করা

*ইমিগ্রেশন কার্ড পূরণের সময় যাত্রীদের কাছ থেকে বখশিশ নেওয়া

*মানি এক্সচেঞ্জের জন্য যাত্রীদের ডাকাডাকি করা ইত্যাদি

কীভাবে শুরু হলো এই উদ্যোগ? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শুরুতে ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্যোগে কিছু বই কেনা হয়।পরবর্তীতে দন্ডপ্রাপ্ত কর্মচারীরা শাস্তি হিসেবে যেসব নতুন বই জমা রাখছে তাতেই সমৃদ্ধ হচ্ছে এই লাইব্রেরি।

তিনি জানান, শুধু অনিয়ম নয়, কোনো কর্মচারী ভালো কাজ করলেও পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হচ্ছে বই।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

এমএইচ/