ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

বাংলাদেশ কমনওয়েলথ উদ্ভাবনী সূচকে ২৪তম     

প্রকাশিত : ১০:৪২ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১১:৪৪ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার

বাংলাদেশ কমনওয়েলথ উদ্ভাবনী সূচকে ২৪তম হয়েছে। জাতিসংঘের বুদ্ধিবৃত্তিকসম্পদ বিষয়ক সংস্থার গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্সের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি এই তালিকার শীর্ষস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর ও কানাডা।

সোমবার (১৬ এপ্রিল) লন্ডনে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর প্রধানদের বৈঠকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।

কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো যেন পরস্পরের সঙ্গে নিজেদের অবস্থান তুলনা করতে পারে সেই লক্ষ্যেই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এতে দেশগুলো জানতে পারবে তারা উদ্ভাবনে অন্যদের চেয়ে কতটা এগিয়ে আছে এবং বাকিদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কাজও করতে পারে।   

এ প্রসঙ্গে কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড বলেন, ‘কমনওয়েলথের ৬০ শতাংশ নাগরিকের বয়সই ৩০ এর নিচে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থাকায় সবাই এখন বিষয়টি শেয়ার করতে পারছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই বিষয়টি সংস্থার সংস্কারের অংশ। তথ্যের এই যুগে নতুনভাবে শুরু করবো আমরা। পরস্পরের সহযোগিতা ও খেয়াল রাখার জন্য বিষয়টি আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।’

কমনওয়েলথ ইনোভেশন ফান্ডের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে গ্লোবাল ইনোভেশন ফান্ড (জিআইএফ)। তাদের কাছে জমা তথ্যই ব্যবহার করা হবে। তহবিল তৈরি ও বিনিয়োগে কাজও করবে গ্লোবাল ইনোভেশন ফান্ড। জীবন বাঁচানো ও মানোন্নয়নের জন্য এই উদ্ভাবনী প্রক্রিয়াগুলো কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে কাজে লাগানো হবে।

বাংলাদেশের ট্যাক্স এর গ্রহণযোগ্যতা ও সম্মতি বাড়াতে একটি প্রকল্প তুলে ধরে জিআইএফ। বৈঠকে কমনওয়েলথ উদ্ভাবনী তহবিল সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে আর্থিকসহ অন্যান্য সহায়তা নেবে। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে উদ্ভাবনী প্রকল্পে সহায়তার জন্য ঋণ দেওয়া ও বিনিয়োগ করার মতো কাজ করবে তহবিলটি। নতুন এই তহবিলে আড়াই কোটি পাউন্ড থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বৈঠকে অংশ নিয়েছেন ৫৩টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। মঙ্গলবার উইমেন্স ফোরামে ক্ষমতায়নের জন্য শিক্ষা নিয়ে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর নির্বাহী সভায় ভাষণ দেওয়ারও কথা রয়েছে তার। ২০ এপ্রিলে উইন্ডসর ক্যাসেলে আবার জড়ো হবে রাষ্ট্রপ্রধানরা।

সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেছেন, ‘২০১৮ সালের কমনওয়েলথ ট্রেড রিভিউ অনুযায়ী সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ২০২০ সালের মধ্যে ৭০০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হবে। তবে ঝুঁকি রয়েছে, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ভঙ্গুর আর সংরক্ষণের বিষয় এখন খুবই স্বচ্ছ ও পরিষ্কার।’

তিনি বলেন, ‘এই সময়ে যদি কমনওয়েলথের ব্যবসা এগোতে চায়। আমরা যদি ভবিষ্যত প্রজন্মকে ভালো ভবিষ্যত উপহার দিতে চাই তবে আমাদের পদক্ষেপ নিতেই হবে।’

এসি