ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

মঙ্গলের ভূমিকম্প মাপতে নাসার নতুন মিশন   

প্রকাশিত : ১১:১৪ পিএম, ৭ মে ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০২:৫৪ পিএম, ৮ মে ২০১৮ মঙ্গলবার

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা মঙ্গলের ভূমিকম্পের মাত্রা পরিমাপ করতে ইনসাইট নামের একটি নভোযান পাঠিয়েছে। ভূমিকম্পের তথ্য থেকে গ্রহটির অভ্যন্তরের কাঠামো সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।   

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যান্ডারবার্গ বিমানঘাঁটি থেকে স্থানীয় সময় শনিবার ভোররাত ৪টা ৫ মিনিটে নভোযানটি উৎক্ষেপণ করা হয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, স্ট্যাটিক ল্যান্ডার যন্ত্রটি মঙ্গলে নামার পর সেখানকার মাটিতে সিসমোমিটার স্থাপন করবে। সিসমোমিটারে যুক্তরাজ্যের তৈরি একটি সেন্সরও থাকছে। এই ভূমিকম্প মাপার যন্ত্রই মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মঙ্গলের ভূমিকম্প‘ মার্সকোয়াক’ সম্বন্ধে তথ্য দেবে। আর পৃথিবীর সঙ্গে তুলনার পর মিলবে মঙ্গলের অভ্যন্তরীণ কাঠামোতে থাকা পাথরের স্তর সংক্রান্ত তথ্যও।  

নাসা বলেছে, ভূকম্পনের মাত্রা পরিমাপের মাধ্যমে গবেষকেরা মঙ্গলের ভূগর্ভে পাথরের সজ্জা নির্ণয়ের চেষ্টা করবেন। এরপর প্রাপ্ত তথ্য পৃথিবীর একই ধরনের তথ্যের সঙ্গে তুলনা করা হবে। ৪৬০ কোটি বছর আগে পৃথিবীর জন্ম কীভাবে হয়েছিল, তা জানারও চেষ্টা করা হবে।

বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এক বছরে তারা কয়েক ডজন কম্পন শনাক্ত করতে পারবেন। তবে সেগুলোর অধিকাংশের মান রিখটার স্কেলে ৩-এর বেশি হবে না বলেই মনে করছেন তারা। তারপরেও তাদের আশা ল্যান্ডারটি থেকে অন্তত কয়েক ডজন ভূমিকম্পের তথ্য পাওয়া যাবে। মৃদু ভূমিকম্পগুলোর তথ্য থেকেও যে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যাবে তা দিয়ে মঙ্গলের গঠন এবং এর গভীরতা নির্ণয় করা যাবে বলেও ধারণা তাদের।

প্রসঙ্গত, গত শতকের সত্তরের দশকে ভাইকিং ল্যান্ডারে করে মঙ্গলে সিসমোটিমার পাঠিয়েছিল নাসা। তবে গঠনের কারণে সেগুলো তেমন সফলতা এনে দিতে পারেনি। যে কম্পনগুলো শনাক্ত হয়েছিল তখন, তার বেশির ভাগই ছিল নভোযানটির কম্পন।

উল্লেখ্য, ইনসাইট মঙ্গলে যে সিসমোমিটারগুলো নিয়ে যাচ্ছে, সেগুলো তৈরি করেছে ফ্রান্স। এগুলোয় রয়েছে ব্রডব্যান্ড সেনসর, যা নিম্ন কম্পাঙ্কের তরঙ্গ শনাক্ত করবে। আর যুক্তরাজ্য যে তিনটি মাইক্রোসিসমোমিটার সরবরাহ করেছে, সেগুলো উচ্চ কম্পাঙ্কের তরঙ্গ শনাক্ত করতে কাজ করবে।

সূত্র: বিবিসি

একে//এসি