ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

১০০ কেন্দ্রের ফল বাতিলের দাবি মঞ্জুর  

প্রকাশিত : ১২:০১ এএম, ১৬ মে ২০১৮ বুধবার

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু ১০০ কেন্দ্রের ফল বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, অন্তত একশ কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতি হয়েছে। এসব কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচন করতে হবে।

মঙ্গলবার দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ফলাফল ঘোষণার মধ্যে সন্ধ্যার পর এই দাবি তোলেন তিনি।   

মঞ্জু বলেন, “আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ছেলে-পেলে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে। এই রকম কেন্দ্রের সংখ্যা ১০০টিরও বেশি হবে।

“সেসব কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে যে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে, সেটা বাতিল করতে হবে। এরপর সেখানে পুনরায় নির্বাচন দিতে হবে।”

কে ডি ঘোষ রোডে খুলনা মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে মঞ্জু এই দাবি তোলেন। ততক্ষণে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির তালুকদার আবদুল খালেকের শিবিরে জয়োল্লাস শুরু হয়ে গেছে।

সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খুলনা নগরীর ৩১ ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ করা হয়। ২৮৯ কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি কেন্দ্রে অনিয়মের কারণে ভোট স্থগিত হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন বলেছে, বিচ্ছিন্ন দুই-একটি ঘটনা ছাড়া উৎসবমুখ পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়েছে। বিএনপি যেসব অভিযোগ করেছে, তা সুনির্দিষ্ট নয়।

বিএনপির অভিযোগ ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

অন্যদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একে ‘প্রহসনের ভোট’ আখ্যায়িত করে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি তুলেছেন।

সোনাতলা উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের বাইরে বিএনপির প্রার্থীর প্যান্ডেলে চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করা হয়। সোনাতলা উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের বাইরে বিএনপির প্রার্থীর প্যান্ডেলে চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করা হয়।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জু বলেন, “খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন একটি কালিমালিপ্ত নির্বাচন। ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করা, আমাদের পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে না দেওয়া, গত রাত থেকে বাড়িতে হামলা করে একটি ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।

“এর মাধ্যমে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বপ্নকে চুরমার করে দিয়ে বর্তমান সরকার এবং নির্বাচন কমিশন একটি কালো অধ্যায়ের সূচনা করল।”

তিনি বলেন, “খুলনাবাসী এই ফলাফল প্রত্যাশা করেনি। তারা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে চেয়েছে। সেই স্বপ্ন ধুলিসাৎ করে দিয়ে গভীর রাত থেকেই ভোট ডাকাতির মহড়া শুরু হয়েছে। দিনব্যাপী ভোট ডাকাতির যে চিত্র খুলনাবাসী দেখেছে, সেই নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য।”

এ ধরনের ‘ভোট ডাকাতির নির্বাচন’ বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ‘আরও সঙ্কটে ফেলবে’ বলে মন্তব্য করেন সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জু।

তিনি বলেন, “আমি আমার পূর্বের বক্তব্যে বলেছিলাম, এই নির্বাচন ভাল না হলে, আগামী জাতীয় নির্বাচন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে।

এসি