ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

বিশেষজ্ঞদের মতামত

এসিড টেস্টে উতরে গেল নির্বাচন কমিশন (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১১:০২ পিএম, ১৬ মে ২০১৮ বুধবার

কারচুপির অভিযোগে বিএনপি ফলাফল প্রত্যাখ্যান করলেও পর্যবেক্ষকরা বলছেন, খুলনার সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ছোটখাট কিছু ত্র“টি বিচুতি উতরে যেতে পারলে আগামী জাতীয় নির্বাচন আরও অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের বৃহৎ দুই রাজনৈতিক দলের অবস্থান জানান দেয়ার বড় চ্যালেঞ্জ ছিল খুলনা সিটি নির্বাচন। তিনটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহন স্থগিত হওয়া ছাড়া মোটামুটি নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে খুলনা সিটি মেয়র নির্বাচন।

বিজয়ের মালা পড়ে নতুন নগর পিতা হয়েছেন আওয়ামীলীগ প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। নির্বাচন পর্যবেক্ষনকারী দুই বেসরকারী সংস্থা জনিপপ ও ফেয়ার ইলেকশন মনিটরিং অ্যালায়েন্স-ফেমা’র দুই বিশ্লেষক বলছেন বিগত সব নির্বাচনের তুলনায় সুষ্ঠ হয়েছে খুলনায়।

নির্বাচনে ১০৫টি কেন্দ্রে কারচুপি হয়েছে এমন অভিযোগ তুলেছে বিএনপি, তবে তা প্রত্যাখ্যান করে বিজয়ের আনন্দে ভেসেছে আওয়ামীলীগ। নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন আওয়ামী লীগের উন্নয়নের রাজনীতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে খুলনাবাসী।


জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেন, মোটাদাগে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ের আরেকটা কারণ হলো সরকারের পদ্মাসেতু নির্মাণ।

এদিকে ফেমার নির্বাহী সদস্য নাজমা চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের যতটুকু আচরণবিধি মেনে চলা উচিত ছিল, তারা সফলভাবেই তা করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিক। তারা এটা করতে শতভাগ সক্ষম হয়েছেন। ভবিষ্যতে জাতীয় নির্বাচনেও তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবে এটাই প্রত্যাশা করি।’

খুলনার ফলাফল গাজীপুর সিটির নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা এখন দেখার অপেক্ষা।


একুশে টেলিভিশন/ এমজে