ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

‘দেহ ঘড়ির’ ছন্দপতনে খারাপ হয় মেজাজ : গবেষণা

প্রকাশিত : ০৯:৩৮ এএম, ১৭ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:১৮ এএম, ১৭ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার

এক গবেষণায় বলা হচ্ছে, মানুষের `দেহ ঘড়ির` ছন্দে কোনও উল্টোপাল্টা হলেই তার `মুড ডিজঅর্ডার` বা মেজাজ খারাপ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোর গবেষকরা ৯১ হাজার লোকের ওপর এক জরিপ চালানোর পর বলছেন, বিষণ্ণতা, হঠাৎ ভীষণ রেগে যাওয়া, একাকীত্ব, অসুখী মনোভাব, আরও অনেক মানসিক সমস্যার সঙ্গে মানবদেহের স্বাভাবিক ছন্দ বিঘ্নিত হওয়ার সম্পর্ক আছে।

বিজ্ঞনীরা বলছেন, দিনে জেগে থাকা আর রাতে ঘুম- এই হচ্ছে মানবদেহের স্বাভাবিক ছন্দ, যা অনুযায়ী দেহের প্রতিটি কোষ, শারীরিক প্রক্রিয়া এবং স্নায়ুতন্ত্র কাজ করে।

গবেষকরা বলছেন, কেউ যদি রাত জেগে বেশি কাজকর্ম করে বা সক্রিয় থাকে, বা দিনে নিষ্ক্রিয় থাকে তাদেরকেই দেহঘড়ির বিঘ্নের আওতায় ফেলা হয়েছে।

এদের মানসিক নানা সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা স্বাভাবিক জীবনযাপনকারীদের চেয়ে ৬ থেকে ১০ শতাংশ বেশি।

গবেষকরা বলছেন, অনেক সমাজেই এই স্বাভাবিক মানুষের জীবনযাপনে এই স্বাভাবিক দিনরাতের চক্র বদলে যাচ্ছে এবং তাদের জন্য এই জরিপের ফলাফল একটি সতর্কবাণী।

তবে দেহঘড়ির এই ছন্দ-বিভ্রাটই কি মানসিক রোগের কারণ, নাকি এটা তার লক্ষণ মাত্র? জরিপটি এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। এ জন্য আরও গবেষণা দরকার হবে।

দেহঘড়ির এই ছন্দকে বলে সার্কেডিয়ান রিদম। মানুষের মনমেজাজ, হর্মোনের স্তর, শরীরের তাপমাত্রা এবং দেহের বিপাক ক্রিয়া- এই সবকিছুর ওপরই এর প্রভাব ব্যাপক।

দিনের শুরুতে সকালবেলা যখন মানবদেহ জেগে ওঠার পর জোরেশোরে কাজ করতে শুরু হরে- ঠিক যেমন একটা গাড়ির ইঞ্জিন চালু করার মতো- তখন এমনকি হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। যা দেহঘড়ির গুরুত্বের আরও একটি দৃষ্টান্ত।

বিবিসিকে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং মনোবিজ্ঞানী ড্যানিয়েল স্মিথ বলেন, এই জরিপে দেহঘড়ির সমস্যায় আক্রান্ত এমন যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের কেউ কেউ হয়তো রাত জেগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেছেন- এটা হতে পারে।

তিনি বলেন, তবে আমার জন্য কড়া নিয়ম- আমি রাত ১০টা বাজলেই আমার মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেই। কারণ বিবর্তন অনুযায়ী মানুষ এমনভাবে তৈরি হয়নি যে যখন তার ঘুমিয়ে থাকার কথা, তখন সে মোবাইলের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকবে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি।

একে// এসএইচ/