ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

দেশে ভোট চুরির সংস্কৃতি শুরু হয় জিয়ার সময়ে

প্রকাশিত : ০১:২৯ পিএম, ১৭ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৩:৩০ পিএম, ১৭ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার

দেশে ভোট চুরি-ডাকাতির সংস্কৃতি সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের সময়ে শুরু হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, বিএনপি আজ কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলে। অথচ এই দলটিই দেশের গণতন্ত্রকে হরণ করেছে। ভোট চুরি-ডাকাতির সংস্কৃতির শুরু করেছিল। দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান অস্ত্রের জোরে ক্ষমতায় এসে দেশের গণতন্ত্রকে শেষ করে দিয়েছিল। জোর করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল। হ্যা, না ভোট দিয়ে গণতন্ত্রের সঙ্গে তামাশা করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশে সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এবং একুশে টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক ও সিইও মনজুরুল আহসান বুলবুল।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে ১৫ জুনের ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছিল বিএনপি। বিএনপির মাগুরার ভোট ডাকাতির উপ নির্বাচন করেছে। তেজগাঁওয়ে উপ নির্বাচন করে দলীয় প্রার্থীকে ভোট ডাকাতি করে জিতিয়েছে এই দলটিই। তাই তাদের মুখে ভোট ডাকাতির কথা মানায় না, গণতন্ত্রের কথা মানায় না।

বিএনপির সঙ্গে সুর মেলানো রাজনীতিক ও বুদ্দিজীবীদের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, এদেশে কিছু মানুষ আছেন যাদের জনমত নাই, ভোট নাই, যারা নামকাওয়াস্তে দল করেন। জনগণ তাদের সঙ্গে না থাকলেও ক্ষমতায় যাওয়ার খুব খায়েশ। তারা বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে মুখে ফাঁনা তুলে।

প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক কল্যাণ ফান্ডে গণমাধ্যম মালিক এবং ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান। বলেন, আমি সাংবাদিক কল্যাণ ফান্ড গঠন করেছি। কিন্তু দু’একজন ছাড়া কেউ এতে সহায়তা করেনি। তাই আমি গণমাধ্যমের মালিক ও ব্যবসায়ীদেরকে এই ফান্ডে অনুদান দেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

আইসিটি অ্যাক্ট নিয়ে সাংবাদিকদের ভয়ের কিছু নেই মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই আইন নিয়ে অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেন। এটি নিয়ে শঙ্কার কিছু নাই। গণমাধ্যম, গণমাধ্যম কর্মীদের নিরাপত্তা দিতেই এই আইন।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে নেতিবাচক খবর প্রচারের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, বেশ কিছু গণমাধ্যম যেনো ধরেই নিয়েছে যে, নেতিবাচক সংবাদ প্রচার করলেই পাঠক প্রিয়তা পাওয়া যায়। আমি তাদেরকে বলবো, সরকারের ইতিবাচক দিকগুলোও তুলে ধরেন।  

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, বিএফইউজের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক প্রমুখ।

/ এআর /