ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বিশ্বভারতীতে শেখ হাসিনা:

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করুন

প্রকাশিত : ০৪:৩৬ পিএম, ২৫ মে ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ১০:১৮ এএম, ২৬ মে ২০১৮ শনিবার

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারকে চাপ দিতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন,মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ছিটমহল বিনিময় করেছি। ভবিষ্যতেও যেকোনও সমস্যা আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে সমাধান করতে পারবো।

আজ শুক্রবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি এই কথা বলেন। বিশ্বভারতীতে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ ভবনের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রেহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছি। আমাদের ১৬ কোটি মানুষের দেশ। তারপরও আমরা তাদের সহযোগিতা করছি। তবে ভারত সরকারের প্রতি আমাদের চাওয়া, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মিয়ারমার সরকারকে চাপ প্রয়োগ করুন।

নরেন্দ্র মোদি ও মমতা বন্দোপাধ্যায়সহ দুই বাংলার সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। কবিগুরুর হাতে গড়া শান্তি নিকেতন। কবিগুরু কেবল ভারতের নয়, তিনি আমাদেরও। দুই দেশের জাতীয় সংগীত তিনি লিখেছেন। তার বেশিরভাগ কবিতাই বাংলাদেশে বসে লেখা। তাই আমাদের অধিকার বেশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বভারতী বিশ্বদ্যালয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক পুরানো। তারা আমাকে সম্মানিত করেছে। আমি মনে করি এটা আমারও বিশ্ববিদ্যালয়।’ বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ায় ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শত্রু একটাই, দারিদ্র্য। আমাদের এই অঞ্চলকে দারিদ্রমুক্ত ও ক্ষুদামুক্ত করতে চাই। সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে চাই। সবাই মিলে কাজ করে এই অঞ্চলে কিছু করবো।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটা মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে বিশ্বে তুলে ধরাই আমার লক্ষ্য। ভারতের মতো বন্ধু দেশ পাশে আছে। তাই মনে করি অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।

টিআর/ এমজে