ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

এই বাজেট জনগণের স্বস্তির বাজেট: আওয়ামী লীগ    

প্রকাশিত : ১১:৩৯ পিএম, ৭ জুন ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:৪৩ পিএম, ৭ জুন ২০১৮ বৃহস্পতিবার

সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে জনবান্ধব, কল্যাণমুখী ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির বাজেট বলে আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা বলেন, এ বাজেটের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নির্বচনী অঙ্গীকার পূরণ করবে। কর আরোপ না করার কারণে এই বাজেট হবে জনগণের স্বস্তির বাজেট।  

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এই বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এরপর প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।   

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন করে কর আরোপ না করায় জনমনে স্বস্তি ফিরে আসবে। বাজেট না পড়েই শুধু বিরোধিতার জন্য বাজেটের সমালোচনা করছে বিএনপি।

তিনি বলেন, নতুন কোনো কর বৃদ্ধি হয় নাই। জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসবে। এটা নির্বাচনী বাজেট না। এটা নির্বাচনের বছর তা ঠিক তবে নির্বাচনকে লক্ষ্য করে বাজেট দেয়া হয়নি।   

বাজেট নিয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তো বাজেট পড়েই নাই। ওরা দেখেও নাই। বাজেট পেশ করার আগেই তা জনবিরোধী বলা হলো ওদের কথার কথা। বিরোধিতা করবে, এটাই তো তাদের কাজ। বাস্তবতার সঙ্গে তাদের কাজের কোনো মিল নেই। কারণ তারা বাজেট পড়ে নাই, কোথা থেকে তারা বলল যে, বাজেট জনগণের না।

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল ফারুক খান বাজেট সম্পর্কে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই বাজেট অঙ্গীকার পূরণের বাজেট। নির্বাচনের আগে আমরা ইশতেহারে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা পূরণ হবে এই বাজেটের মধ্যে দিয়ে। এই বাজেটের মাধ্যমে বড় বড় প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হবে।

তিনি বলেন, ম্যানুফেকচারিং কোম্পানিগুলোর জন্য সুবিধা হবে। নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তা ছাড়া এ বাজেটের মাধ্যমে মধ্যবিত্ত তৈরি হবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যত ভালো বাজেটই হোক না কেন যাদের বিরোধিতা করা দরকার তারা করবেই।

বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, গত বছরের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে এই বাজেট পেশ করা হয়েছে। চলতি বছর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এটা মাথায় রেখেই সরকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছে। এক কথায় বলা চলে প্রস্তাবিত বাজেট নির্বাচনী বাজেট।

এসি