ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

খালেদা জিয়াকে দ্রুত ইউনাইটেডে নেওয়ার দাবি বিএনপির

প্রকাশিত : ০২:১৬ পিএম, ১০ জুন ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ১০:০৭ এএম, ১১ জুন ২০১৮ সোমবার

কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকার ও কারা কর্তৃপক্ষ উদাসীন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাকে দ্রুত ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তির দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ সকালে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা না দিলে তার যদি বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়, এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা শনিবার কারাগারে দেখে এসে তার ‘মাইল্ড স্ট্রোকের’ ধারণার কথা জানিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে তাকে স্থানান্তরের সুপারিশ করেন।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজ দুপুরে সাংবাদিকদের বলেছেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে ফের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে রিজভী বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়ার দাবি জানিয়ে সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা না দিলে তার যদি বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়, এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
তিনি বলেন, দেশনেত্রীর স্বাস্থ্যের অবস্থা জেনে শুধু বিএনপিই নয়, দেশবাসীও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে বেগম জিয়ার চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা না করে দেশনেত্রীর অসুস্থতাকে আরও গুরুতর করে তাকে রাজনৈতিক ময়দান থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুগভীর চক্রান্ত কি না, তা নিয়ে মানুষের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
খালেদাকে বিএসএমএমইউতে নেওয়ার আভাস পেয়ে তার বিরোধিতা করে রিজভী বলেন, আমি কোথায় চিকিৎসা করব, সেটা আমার মৌলিক অধিকার, মানবিক অধিকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য দেশনেত্রীর মৌলিক অধিকার হরণের নামান্তর বলে আমরা মনে করি।
রিজভী বলেন, অতীতেও আওয়ামী লীগের সভানেত্রীসহ অনেক নেতাকে কারাগারে বন্দি থাকাবস্থায় প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তাহলে বেগম খালেদা জিয়াকে তার পছন্দ মতো চিকিৎসা করতে না দেওয়া একজন বন্দির প্রতি চরম মানবধিকার লঙ্ঘন নয় কি?

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খোন্দকার, যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল আলম খোকন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।


/ এআর /