ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

পাকিস্তানে নির্বাচনী সংকট:

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গেও ঝামেলায় জড়ালো সুপ্রিম কোর্ট

প্রকাশিত : ১২:০৮ পিএম, ১১ জুন ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০২:৪৭ পিএম, ১১ জুন ২০১৮ সোমবার

পাকিস্তানের সরকার ও দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের মধ্যে সাপে-নেউলে সম্পর্কও ফের আলোচনার টেবিলে জায়গা করে নিয়েছে। দেশটির প্রতিটি সরকারের উপর হস্তক্ষেপ করা যেন, সর্বোচ্চ আদালতের রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু নির্বাচিত সরকারই নয়, তত্ত্বাবধায় বা সেনা সরকার-যেই হোক না কেন কারও রেহাই নেই পাক আদালতের কাছ থেকে।

সম্প্রতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে এক আদেশ জারির মাধ্যমে আবারও সরকারি কাজে হস্তক্ষেপ করেছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। গত শনিবার দেশটির সাবেক স্বৈরশাসক পারভেজ মুশারফের নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট বাতিল করার ঘোষণা দেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান নাসির-উল-মুলক। এর একদিন না যেতেই দেশটির সর্বোচ্চ আদালত থেকে আদেশ আশে যে, পারভেজ মুশারফকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দিতে হবে।


এদিকে সুপ্রিম কোর্টের এমন হস্তক্ষেপে আবারও পাক রাজনীতিতে টালমাটাল অবস্থা দেখা দিয়েছে। সরকার বা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের মধ্যে কোনও একটি খারিজ না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানে সাংবিধানিক সমস্যা কাটছে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

জানা গেছে, তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাসির উল মুল্‌ক অবিলম্বে মুশারফের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইসি) বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। শনিবারই তাঁর পরিচয়পত্র বাতিল করেছে পাকিস্তানের ন্যাশনাল ডেটাবেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অথরিটি। যার অর্থ, মুশারফের পাকিস্তানি পাসপোর্টেরও আর মূল্য থাকল না। মুশারফ এই মুহূর্তে দুবাইয়ে। এনআইসি, পাসপোর্ট বাতিল হওয়ায় এখন আইন মেনেই তাঁকে দেশে ফেরানো সম্ভব বলে মনে করছেন কূটনীতিকদের একাংশ।

কিন্তু মুশারফ ভোটের আগে নিজেই পাকিস্তানে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছে তাঁর দল এপিএমএল। সম্প্রতি এক শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট মুশারফকে সাধারণ নির্বাচনে লড়ার অনুমতি দিয়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। ১৩ জুন তাঁকে আদালতে হাজিরা দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত। কিন্তু ওই সময়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

এপিএমএল জানিয়েছে, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের চিত্রল আসন থেকে ভোটে লড়তে পারেন মুশারফ। করাচি থেকেও লড়তে পারেন বলে খবর বেরিয়েছে। মুশারফকে ভোটে লড়ার সুযোগ দেওয়ায় নওয়াজ শরিফ-সহ পাক রাজনীতিকদের সমালোচনার মুখে পড়েছে শীর্ষ আদালত। ১৯৯৯ সালে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করেছিলেন মুশারফ। ২০০৮ সালে তিনি ইস্তফা দিতে বাধ্য হন। তার পরে একের পর এক ফৌজদারি মামলার মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তখন থেকে তিনি সেখানে অবস্থান করছেন।

সূত্র: গালফ নিউজ
এমজে/