ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে নিরাপদ পানি পৌঁছাবে ওয়াটারএইড

প্রকাশিত : ১১:৫৩ পিএম, ১১ জুন ২০১৮ সোমবার

দেশের ৪ লাখ ৫০ হাজার শহুরে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে নিরাপদ পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সেবা প্রদানের লক্ষে ‘ওয়াশ ফর আরবান পুওর’ নামে পাঁচ বছর মেয়াদী নতুন একটি প্রকল্প উদ্বোধন করলো ওয়াটারএইড বাংলাদেশ ও সুইডেন দূতাবাস। রবিবার (১০ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হয়।

দেশজুড়ে বিভিন্ন শহরের বস্তি বাসিন্দা এবং নিম্ন আয়ের এলাকার লাখ লাখ জনগোষ্ঠির জন্য ন্যূনতম নিরাপদ পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সহয়তা নিশ্চিত করতে কাজ করবে প্রকল্পটি। এর আতওায় বস্তি, বিদ্যালয়, স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও জনসমাগম স্থলে টেকসই ‘ওয়াশ’ সেবা পৌঁছে দেয়াই প্রকল্পটির উদ্দেশ্য। এছাড়া এ প্রকল্পটি শহর এলাকার দরিদ্র এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির দরিদ্র সহায়ক ‘ওয়াশ গভর্নেন্স‘ উন্নয়নে কাজ করবে।

সুইডেন দূতাবাস ও ওয়াটারএইড বাংলাদেশের চলমান অংশীদারিত্বের আতওায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা মহানগর এবং সৈয়দপুর, সখীপুর ও পাইকগাছা এই তিনটি পৌরসভায় ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রকল্পটি পরিচালিত হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদের। সম্মানিত অতিথি হিসেবে সুইডেন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত চারলোটা স্কালাইটার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা ওয়াশার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান উপস্থিত ছিলেন।

স্বাগত বক্তব্যে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, “শহুরে প্রেক্ষাপটে প্রকল্পটি আসন্ন নিরাপদ পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও হাইজিন (ওয়াশ) চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সুযোগ সৃষ্টি করবে, সেই সাথে শহুরে দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য মৌলিক মানবাধিকার- পানি ও হাইজিন সেবা প্রদানের মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রায় একটি ইতিবাচক ও টেকসই পরিবর্তন আনাই হল প্রকল্পটির লক্ষ।”

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে দেশের বিভিন্ন শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য ন্যূনতম নিরাপদ পানি, পয়ঃনিস্কাশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি তাদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, সামাজিক মর্যাদা ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টির লক্ষে কাজ করবে পাঁচটি স্থানীয় এনজিও - দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর স্যোসাল অ্যাডভান্সমেন্ট (বাসা), এসকেএস ফাউন্ডেশন, সাজেদা ফাউন্ডেশন ও নবলোক।

এসি