ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ঈদ লাইফস্টাইল পর্ব-৬

গহণার নানান কালেকশন থাকছে জুয়েলস বাই ফারজানায়

প্রকাশিত : ১১:৪৭ পিএম, ১৩ জুন ২০১৮ বুধবার

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি ইতোমধ্যে জানিয়েছে যে আগামী শনিবার পালিত হবে পবিত্র ঈদ উল ফিতর। ঈদের পোষাকের মতো মূল কেনাকাটা শেষ প্রায় সব নারীর। তবে নারীর সাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ গহণা। সেই গহণার ব্যাপক কালেকশন আর সমারোহ নিয়ে এসেছে ‘আর্টিকেল অব জুয়েলস বাই ফারজানা’।

ফেসবুক ভিত্তিক এই অনলাইন শপটিতে থাকছে আসল গোল্ড ও সিলভার প্লেটের গহণা। দেশীয় ট্রাডিশনাল ডিজাইনের এসব গহণায় থাকছে পাথরের কাজ। এছাড়াও গ্রাহক আলাদা করে তার ফরমায়েশ অনুযায়ী ডিজাইন করিয়ে নিতে পারবেন এসব গহণার।

আর্টিকেলস অব জুয়েলস বাই ফারজানা’য় যেসব ধরণের গহণা পাওয়া যায় তার মধ্যে আছে কানের দুল, টিকলী, ঝাপটা, সিথা পাঠি, আংটি, চোকার, নেকলস, গলার মালা এবং পায়েল। এছাড়াও চেইনসহ হাতের আংটিও পাওয়া যায় এখানে।

প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেইজ থেকে জানা যায়, এখানকার কানের দুলের দাম এক হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়। সর্বোচ্চ তিন হাজার ৩০০ টাকা মূল্যের কানের দুল আছে এখানে। টিকলীর দাম সর্বনিম্ন ৯০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। ঝাপটা পাওয়া যাচ্ছে এক হাজার ৬০০ টাকা থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে। নেকলেস ও চোকারের দাম দুই হাজার ৮০০ টাকা থেকে শুরু। গ্রাহকের ফরমায়েশ এবং ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইন ও পাথরের ওপর এসব অলংকারের দাম আরও বাড়তে পারে। এছাড়াও মেয়েদের গলার বড় মালার দাম শুরু হয় দুই হাজার ৭০০ টাকা থেকে। তবে বিশেষ ডিজাইন এবং গ্রাহকের পাথরের বিশেষ কোন পছন্দ থাকলে দাম ওঠানামা করতে পারে। পাশাপাশি পায়েলের বেশ কিছু কালেকশন আছে এখানে। দৃষ্টিনন্দন এসব পায়েলের দাম পরবে এক হাজার ৬০০ টাকা থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে।

প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ও নারী উদ্যোক্তা ফারজানা হাসান বলেন, “গহণা বা অলংকারের প্রতি আমাদের নারীদের স্বভাবতই আকর্ষণ থাকে। আর সাম্প্রতিক সময়ে গোল্ড ও সিলভার প্লেটেড গহণা নারীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এগুলোতে এক ধরণের ‘ট্রাডিশনাল লুক’ থাকে। তবে বিভিন্ন শপিং মল এবং বিপনী বিতানগুলোতে এধরনের যেসব গহণা পাওয়া যায় তা খুবই নিম্নমানের। সেই অবস্থা দেখেই ভাবলাম যে, যদি মোটামোটি সুলভ দামে আসল এবং উন্নত মানের এসব গহণা বাজারে আনতে পারি তাহলে তা গ্রাহকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। এখন পর্যন্ত আমরা গ্রাহকদের কাছ থেকে বেশ ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি”।

ফারজানা আরও বলেন, “আমরা চাই গ্রাহকদের মৌলিক ডিজাইন ও নকশা অলংকার সরবরাহ কুরতে। তাও সুলভ মূল্যে। তবে অ্যাড স্টোন দেওয়া গহণাগুলোর দাম একটু বেশি পরে যায়। আমাদের গহণাগুলোর রঙের গ্যারান্টি দেই আমরা। নিম্নমানের অলংকারগুলোতে যেখানে অল্প কদিনেই রঙ নষ্ট হয়ে যায় সেখানে আমাদের গহণাগুলোর রঙের গ্যারান্টি সাত থেকে আট বছর”।

আর্টিকেল অব ফারজানা তিন থেকে চার দিনের মধ্যে গ্রাহকদের ‘হোম ডেলিভারি’ ভিত্তিতে এসব গহণা সরবরাহ করে। গহণার মান যাচাই করে মূল্য পরিশোধের সুযোগ আছে এখানে। তবে গ্রাহকের নির্দিষ্ট ডিজাইন অনুযায়ী গহণা বানানো হলে সরবরাহের সময় আরও বেশি প্রয়োজন হতে পারে বলে জানায় ফারজানা হাসান।

//এস এইচ এস//