ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ভূ-পৃষ্ঠের উপরে সেনা সদস্যের দেহাবশেষ!

প্রকাশিত : ০১:৪৫ পিএম, ২১ জুলাই ২০১৮ শনিবার

ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০ হাজার ফুট উপরে বরফের স্তরের ফাঁকে দেখা গেছে মানব দেহ। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় বিশ হাজার ফুট উপরে? কোথা থেকে এল? খুঁজতে খুঁজতে পাওয়া গেল বরফের তলায় চাপা পড়ে থাকা একটি বিমানের ধ্বংসাবশেষও। যা দেখে কার্যত হতবাক ভারত-চীন সীমান্তে হিমাচল প্রদেশের ঢাকা হিমবাহে পা রাখা পর্বতারোহী অভিযাত্রী দল।

‘নেহরু মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের’ পর্বতারোহী দলের তরফে তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করা হয় নিকটবর্তী সেনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। সেনার বিশেষ উদ্ধারকারী দল ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখতে পায় যে, বরফের খাঁজের মধ্যে থেকে যার ক্ষতবিক্ষত দেহ বেরিয়ে আছে, তিনিও সম্ভবত একজন সেনা জওয়ান। তখনই সেনা কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারেন যে, এভাবেই বরফের খাঁজে শুয়ে আছেন আরো বহু হতভাগ্য সেনা জওয়ান, যাদের নিয়ে ১৯৬৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি চণ্ডীগড় থেকে লেহ যাত্রা করেছিল ভারতীয় বিমান বাহিনীর মালবাহী বিমান এএন-১২৷

হিমাচল প্রদেশের রোহতাং পাসের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় ওই বিমান দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় খারাপ আবহাওয়ার কারণে। তারপরে তা ভেঙে পড়ে বরফের চাঁইয়ের মধ্যে, ঢাকা হিমবাহের বিভিন্ন অংশে। বিমানে তখন ছিলেন ৯৮ জন জওয়ান এবং চার জনের এক অভিজ্ঞ বিমান চালক দল। এবার তাদের মধ্যে কোনও একজন নাম না জানা হতভাগ্যর দেহ উদ্ধার করেছেন সেনা জওয়ানরা। এর আগে ২০০৩ সালে উদ্ধার কার্যের সময়ে তিনটি মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। ২০১২ সালে পাওয়া গিয়েছিল এক সেনা জওয়ানের পরিচয় পত্র। পরের বছর ২০১৩ সালে উদ্ধার হয়েছিল আর এক সেনা জওয়ানের দেহ, পকেটে থাকা পরিচয় পত্র দেখে যাকে হরিয়ানা নিবাসী হাবিলদার জার্ণেল সিং বলে চিহ্নিত করা হয়। পাঁচ বছর পরে আরও একবার উদ্ধার হল একটি দেহ।

উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিমান বাহিনীর মালবাহী বিমানটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হওয়ার পরে অত্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বেশ কয়েক মাস উদ্ধারপর্ব তেমন ভাবে চালানোই সম্ভব হয়নি। এর পরে বহুবার ওই বিমানের যাত্রী সেনা জওয়ানদের সন্ধানে উদ্ধারকার্য চালানো হয়েছে, কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে তা সাফল্য পায়নি। তা ছাড়া অত উঁচুতে বরফের চাঁইয়ের মধ্যে থেকে একটা আস্ত বিমানকে টেনে তোলা কার্যত অসম্ভব বুঝেও কিছুটা পিছিয়ে এসেছিলেন সেনা কর্তৃপক্ষ।

আরকে//