ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘হত্যাকাণ্ড প্রমাণিত হলে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় বিচার করা হবে’

প্রকাশিত : ০৬:৪৩ পিএম, ৬ আগস্ট ২০১৮ সোমবার

সড়ক পরিবহন আইনের মামলার তথ্য প্রমাণ ও ঘটনা তদন্তে হত্যাকাণ্ড প্রমাণিত হলে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় (মৃত্যুদণ্ড) বিচার হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন,আগের আইনে অবহেলাজনিত কারণ প্রমাণিত হলে সাজা ছিল ৩ বছর। বর্তমান সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন করে তা অজামিনযোগ্য পাঁচ বছর করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, তদন্তে যদি ভিন্ন তথ্য প্রমাণিত হয়, স্বাভাবিক দুর্ঘটনা না হয়, তবে তা বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলাযোগ্য হবে। এখানে চালকের অবহেলা প্রমাণিত হলে এবং তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদন ও সাক্ষ্যতেই মামলা ৩০২ ধারায় না ৩০৪ ধারায় বিচার হবে-তা আদালতে নির্ধারিত হবে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘এই আইনটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি পুরোপুরি পূরণ করা হলো। বর্তমান প্রেক্ষাপটে নতুন আইনের প্রয়োজন ছিল, স্বাভাবিকভাবেই মানুষের আগ্রহ এই আইনের প্রতি রয়েছে।এছাড়া বিদ্যমান আইন অনেক পুরনো। সেই সময়ের চেয়ে এখন দেশের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা ও সড়ক ব্যবস্থারও অনেক আধুনিকায়ন এবং উন্নতি হয়েছে। উচ্চ আদালতের রায় ও পর্যবেক্ষণ অনুসরণ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৮৪, ৯৭ ও ১০৩ ধারায় সংঘটিত অপরাধগুলো জামিন অযোগ্য। তবে, আগের আইনে ১৭৭টি ধারা ছিল। বর্তমান আইনে তা ১২৪টি করা হয়েছে ও ১৪টি অধ্যায়ে বিন্যস্ত করা হয়েছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার রেগুলেটরি আনা হয়েছে, যানবাহন চালানো ও সড়ক ব্যববস্থাপনায় যা যা প্রয়োজন সব সংযোজন করা হয়েছে।

আইনমন্ত্রী তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনাকে কেবল দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া যাবে না। তদন্তে যদি দেখা যায়, ইচ্ছাকৃত ভুল বা সামলানো যেতো অথচ দুর্ঘটনা ঘটেছে, তখনই এই মামলা ৩০২ ধারায় বিচার হবে। মামলার গুরুত্ব ও জনগণের স্বার্থ সংশ্নিষ্ঠতা অনুযায়ী মামলা প্রয়োজনে দ্রুত বিচার আদালতে নেওয়া হবে। এরই মধ্যে বিমানবন্দর সড়কে দুই কোমলমতি শিশুর মামলা ৩০২ ধারায় দ্রুত বিচার আদালতে নেওয়ার বিষয়ে কথা দিয়েছে সরকার।

তিনি বলেন, এই আইন করার ক্ষেত্রে সরকার এ সংক্রান্ত সব মামলার রায় ও আদালতের রায়কে সর্বোচ্চ আমলে নিয়েছে। যেগুলো নেওয়া সম্ভব হয়নি, যদি কিছু বাকি থাকে তা বিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

এটা অডিনেন্সের মাধ্যমে কার্যকর হবে কীনা-জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা সংসদে পাশের মাধ্যমে কার্যকর হবে, কোন অডিনেন্স হবে না।

এর আগে সকালে মন্ত্রিসভা বৈঠকে সড়ক দুর্ঘটনায় চালকের অবহেলাজনিত কারণে সর্বোচ্চ পাঁচবছর সাজা ও জরিমানার বিধান রেখে ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন আইনটি পাসের জন্য সংসদের আগামী অধিবেশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

কেআই/ এসএইচ/