ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

অনন্তমূল গাছে বাড়ে হজমশক্তি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:২৫, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১১:২৬, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭

(ফাইল ফটো)

(ফাইল ফটো)

অনন্তমূল একটি ওষুধী গাছ। এর রয়েছে অনেক গুন। এই গাছ ব্যবহার করে নানাবিধ অসুখ থেকে আরোগ্য লাভ করার সুয়োগ রয়েছে। এই গাছের গুনাবলি তুলে ধরেছেন ড. তপন কুমার দে তার ‘বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় গাছ-গাছড়ার’ বইয়ে। একুশে টেলিভিশন অনলাইনের পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো-

পরিচিতি-

সরু এবং লতা জাতীয় উদ্ভিদ। পাতা লোমযুক্ত এবং কাণ্ডের দুদিকে জন্মায়। কিছুটা ডিম্বাকৃতির লম্বা এবং আগার দিকটা মোটা থাকে। ফলের বাইরের দিকের রং সবুজ আর বেগুনী। বীজ ছোট এবং চ্যাপ্টা, রং কালো। গাছের পাতার মাঝখানে সাদা দাগ থাকে। বাংলাদেশের সর্বত্রই বিশেষ করে উঁচু ভূমিতে জন্মে।

বর্ষায় ফুল ফুটে। আশ্বিন মাসে ফল পাকে। এ সময় চাষাবাদ করা যায়। এর ক্রমশ সরু হয়ে মাটির অনেক নীচে চলে যায়। কোথাও কোথাও শেষ পাওয়া যায় না।

পিত্ত বাড়লে, মায়েদের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে, অগ্নিমান্দ্য ও অজীর্ণ, মূত্ররোধ, জিহবাক্ষত, পাথুরীর যন্ত্রণা, অর্শ সবগুলো ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

অনন্তমূলের ব্যবহার-

অর্শ- তিন গ্রাম অনন্তমূল বেটে, গরুর দুধের সঙ্গে জ্বাল দিয়ে দই পাততে হবে। সন্ধ্যার সময় এটা করা দরকার। পরের দিন সেই দই খেলে অর্শ  রোগ অবশ্যই উপকার হবে। সঙ্গে সঙ্গে খাবারে রুচি এবং ক্ষিদে বাড়বে।

পাথুরীর যন্ত্রণা- গরুর দুধ দিয়ে ২/৩ গ্রাম অনন্তমূল বেটে খাওয়ালে খুবই তাড়াতাড়ি রোগী অসহ্য যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পায়।

জিহবাক্ষত- ২০ মিলিলিটার ভেড়ার দুধে শুকনো অনন্তমূল ঘষে মাঝে মাঝে ক্ষতস্থানে লাগালে জিভ ও মুখে ঘা সারে।

মূত্ররোধ- ৬০/৭০ গ্রাম অনন্তমূল ছোট ছোট করে কেটে ২০ মিলিলিটার পানিতে সারারাত ভিজিয়ে সে পানি পরিস্কার পাতলা কাজড়ে ছেঁকে পান করলে ৩/৪ গুন বেশি প্রসাব হয়। এ ছাড়া মূত্র রোগে খুবই

হজমশক্তি বাড়ে- ২/৩ গ্রাম শুকনো অনন্তমূল গুঁড়ো, সকালে খালিপেটে একগ্লাস ঠাণ্ডা পানিতে দিয়ে খেলে ক্ষুধা ও হজমশক্তি বাড়ে নিয়মিত ১০ /১৫ দিন খাওয়া প্রয়োজন।

পিত্ত বাড়লে- শরীরে পিত্ত বাড়লে বিশেষ করে ভাদ্র ও আশ্বিন মাসে হাত-পায়ের তালু জ্বালা করে। ২-৩ গ্রাম অনন্তমূল শিলে বেটে দু’চামচ চিনি মিশিয়ে ঠাণ্ডা পানিতে শরবত বানিয়ে খেলে পিত্ত কমে এবং হাত পায়ের তলুর জ্বালাপোড়া দূর হয়।

মায়েদের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে- ১২৫ গ্রাম অনন্তমূল  এবং দেড় লিটার পানি একটি মাটিতে হাড়িতে রেখে সেদ্ধ করতে হবে। হাড়ির মুখে মাটির সারা দিয়ে অবশ্য চাপা দেওয়া প্রয়োজন। ৪০ মিনিটের মত সেদ্ধ হবার পর হাড়ি আগুন থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা হলে ছেকে নিতে হবে। দিনে একবার করে চায়ের কাপের এককাপ পরিমাণ খেলে বুকের দুধ বাড়বেই।

 

এসএইচ/

 

 

 

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি