ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

অনাথ রোহিঙ্গা শিশুদের স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:০৮, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:১৮, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সেনাবাহিনীর ব্যাপক তাণ্ডবের মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া পরিবারবিচ্ছিন্ন ও অনাথ রোহিঙ্গা শিশুদের চিহ্নিত করতে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে। একইসঙ্গে এই অনাথ শিশুদের পৃথক ক্যাম্পে রাখা হবে। এ ব্যাপারে এক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এজন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে জমিও চাওয়া হয়েছে।  

ইতোমধ্যে এক হাজার ৮০০ রোহিঙ্গা শিশুকে শনাক্ত করে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ সচিব জিল্লার রহমান।

তিনি জানান, ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সব এতিম ও পরিবারবিচ্ছিন্ন রোহিঙ্গা শিশুদের আলাদা করে স্মার্ট কার্ড দেবেন তারা। এই রোহিঙ্গা শিশুদের আলাদা করে রাখতে সরকারের কাছে উখিয়া ও টেকনাফে ২০০ একর করে জমি চাওয়া হয়েছে। জায়গা পেলে অনাথ রোহিঙ্গা শিশুদের আলাদা ক্যাম্পে রাখার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পরিকল্পনা পাঠানো হবে।

রোহিঙ্গাদের নিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও সচিব জিল্লার রহমান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অনাথ রোহিঙ্গা শিশুদের চিহ্নিত করে স্মার্ট কার্ড দেওয়ার এই কাজ শুরু করেছেন তারা। এ পর্যন্ত চিহ্নিত করা ১৮০০ শিশুকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা যাবে বলে তারা আশা করছেন। ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সটা ভালনারেবল। তাদের যদি নরমাল এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে রাখা হয় হয়ত তারা অশান্তির কাজে জড়িয়ে যেতে পারে। এজন্য সরকারের বিবেচনা হচ্ছে, পরিবারবিচ্ছিন্ন শিশুদের আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা।

জিল্লার রহমান বলেন, জায়গা বরাদ্দ পেলে শূন্য থেকে সাত বছরের শিশুদের এক জায়গায় এবং ৮ থেকে ১৮ বছরের শিশুদের আরেক জায়গায় রেখে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে তাদের পরিচর্যা করার পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি বলেন, ওই শ্রেণির মানুষের (অপরাধী) সংস্পর্শে যেন শিশুরা না আসে। বাংলাদেশের শান্তিশৃঙ্খলা যেন বিঘ্নিত না হয় এবং এটা তাদের অধিকার।

তিনি বলেন, এতিম রোহিঙ্গা শিশুদের যে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হচ্ছে তার অর্ধেক অংশ জুড়ে ছবি, আর বাকি অর্ধেকে তথ্য থাকছে। কার্ড বিতরণে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ১২০ জন কর্মচারী কক্সবাজারে কাজ করছেন। কোনো রোহিঙ্গা শিশু খুব খারাপ অবস্থায় নেই, তাদের দেখাশোনা করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি আন্তর্জাতিক চাপে তাদের দ্রুত ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা থাকছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের সহযোহিতা করা হবে।

গত ২৪ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কয়েকটি তল্লাশি চৌকিতে বিদ্রোহীদের হামলার রেষ ধরে ব্যাপক অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। এ প্রেক্ষাপটে জীবন বাঁচাতে ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে চার লাখের মতো রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ শিশু তহবিল- ইউনিসেফের হিসাবে শরণার্থীদের মোট সংখ্যার ৬০ শতাংশই শিশু।

ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি