ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

আগুনের পাখা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০২, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৩:৪২, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

শুনতে অবাক লাগলেও একটা সময় ফ্যান চলত আগুনের জোরেই। স্টিম ইঞ্জিন চালিত সেই ফ্যান আজও আছে অনেক স্মৃতির সাক্ষী হয়ে। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে রবার্ট স্টারলিং নামে এক বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেন এই আশ্চর্য ফ্যান, যার নাম কেরোসিন পাখা।

এক সময় এই পাখার হাওয়াতেই শরীর জুড়োত। আগুনের ঠেলায় ঘুরত ফ্যানের ব্লেড। সময়ের হাত ধরে এগিয়েছে প্রযুক্তি। এখন স্মৃতির ফলক হয়েই বেঁচে আছে এই কেরোসিন পাখা। তবে এখন কলকাতার বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজি মিউজিয়ামে গেলে দেখা মিলবে এই কেরোসিন পাখার।

কেরোসিন পাখার জন্ম বৃত্তান্ত

উনিশ শতকের গোড়ার দিকে আবিষ্কার হয় এই পাখা। প্রাকৃতিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ঘুরত ফ্যানের ব্লেড। কেরোসিন পাখার আবিষ্কর্তা রবার্ট স্টারলিং। স্টিম ইঞ্জিনের মেকানিজমকে কাজে লাগিয়ে তৈরি হয় এই ফ্যান।

কেরোসিন পাখার প্রযুক্তি

এই ফ্যানের মধ্যে দুটি সিল্ডিন্ডার থাকে। ৯০ ডিগ্রি কোণ করে জোড়া থাকে সিলিন্ডার দুটি। প্রথম সিল্ডিন্ডারের বায়ুকে বাইরে থেকে আগুন জ্বালিয়ে গরম করা হয়। বায়ু উত্তপ্ত হলে প্রসারিত হয় এবং প্রসারিত বায়ু প্রথম সিলিন্ডার থেকে দ্বিতীয় সিলিন্ডারে যায়। এরপর গরম বায়ু দ্বিতীয় সিলিন্ডারের ঠান্ডা বায়ুকে প্রথম সিলিন্ডারে পাঠিয়ে দেয় এবং বায়ুর এই খেলাতেই ঘুরতে থাকে ফ্যানের ব্লেড।

সময় এগিয়ে চলেছে ঝড়ের গতিতে। পুরনো প্রযুক্তিকে সরিয়ে জায়গা দখল করছে নতুন প্রযুক্তি। সেভাবেই কেরোসিন পাখা আজ সময়ের বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিক। তবে অনেক স্মৃতির সাক্ষী।

সূত্র: জিনিউজ

একে// এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি