ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

আজ বাংলাদেশের ওয়ানডে মিশন শুরু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২৭, ২২ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ০৯:৫৫, ২২ জুলাই ২০১৮

টেস্টের ব্যর্থতা ভুলে ওয়ানডেতে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। একটি জয় বদলে দিবে দলের চেহারা। ক্রিকেটাররাও নাকি উদগ্রীব আছেন ওয়ানডেতে ভালো করতে।
ক্যারিবিয়ানে আজ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের ওয়ানডে মিশন। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। গায়ানায় বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শুরু হবে ম্যাচটি।
ক্যারিবিয়ানে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয় আছে মাত্র তিনটি। সেটা ২০০৯ সালে, খর্বশক্তির উইন্ডিজদের বিরুদ্ধে। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়েও এগিয়ে আছে উইন্ডিজরা। ২৮ ম্যাচের সাতটিই জিতেছে তারা।
টেস্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়ে তুলতে পারেনি সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। ক্যারিবিয়ান পেসারদের সামনে ব্যাট হাতে দাঁড়াতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। তবে ওয়ানডে বাংলাদেশের সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যের ফরম্যাট। যেখানে সাফল্যও অনেক বেশি। তাই ওয়ানডেতে ভালো কিছুর আশা করছে সফরকারীরা।
স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে কয়েকদিন বিলম্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গিয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রস্ততি ম্যাচ না খেললেও ফিল্ডিং করে মাঠে সময় কাটিয়েছেন তিনি। সেই প্রস্তুতি ম্যাচেই দল হিসেবে জ্বলে উঠার কিছুটা রসদ পেয়েছে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বে প্রস্তুতি ম্যাচে চার উইকেটে জয় এসেছিল। স্বস্তির খবর রান পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম, লিটন দাসরা। মুশফিক অপরাজিত ৭৫, লিটন দাস ৭০ রান করেছিলেন। বোলিংয়ে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, রুবেল হোসেনরা ভালো করেছেন। অফস্পিনার মোসাদ্দেক ১৪ রানে চারটি, টেস্টে নিষ্প্রভ থাকা পেসার রুবেল নিয়েছিলেন তিন উইকেট। বিপর্যস্ত টেস্ট সিরিজের পর এই পারফরম্যান্স নিশ্চিতভাবেই উজ্জীবিত করবে গোটা দলকে।
ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের সাতে রয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবস্থান নয়ে। তবে ঘরের মাঠে ক্যারিবিয়ানরা এখন বেশ শক্তিশালী। ক্রিস গেইল, এভিন লুইস, আন্দ্রে রাসেলরা খেলবেন জেসন হোল্ডারের নেতৃত্বে। আছেন হেটমায়ার, শেই হোপ, আলজারি জোসেফ, কেমু পল, রোভম্যান পাওয়েলের মতো প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ ক্রিকেটাররা। টেস্টের জয় আত্মবিশ্বাস যোগাবে স্বাগতিকদের।
তাছাড়া টেস্টে হেরে চাপে রয়েছে বাংলাদেশ। দল হিসেবে তিন বিভাগে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলা চ্যালেঞ্জিং হবে মাশরাফি বাহিনীর জন্য। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে চিন্তা থাকবে বেশি। টপঅর্ডারে ভালো শুরু পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ হবে। যার বড় দায়িত্বটা আসরে তামিমের কাঁধেই থাকবে। মিডল অর্ডারে মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক, সাব্বিরদেরও জ্বলে উঠতে হবে লড়াইয়ের পুঁজি গড়তে হলে। অভিজ্ঞ মাশরাফির সঙ্গে মুস্তাফিজ-রুবেল মিলে পেস আক্রমণটা ভরসা করার মতো। টেস্টে পেসাররা ভালো না করলেও ওয়ানডেতে এই তিন পেসারের কাছে বড় প্রত্যাশা থাকবে দলের।
সাকিবের সঙ্গে বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুর খেলাটা নির্ভর করবে কম্বিনেশনের উপর। প্রস্তুতি ম্যাচে মোসাদ্দেকের অফস্পিন কার্যকারিতা পাওয়ায় মেহেদী হাসান মিরাজের খেলার সম্ভাবনা কম। কারণ মোসাদ্দেকের কাছ থেকে ব্যাটিংয়ে সার্ভিসটা ভালো পাওয়া যাবে। ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গী হওয়ার দৌড়ে আছেন দুইজন; এনামুল হক বিজয় ও লিটন দাস। প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো করায় লিটন এগিয়ে থাকছেন। তাছাড়া টেস্ট খেলায় কন্ডিশন সম্পর্কে লিটনের ধারণা ভালো। প্রস্তুতি ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়লেন বিজয়।
মাশরাফির উপস্থিতি দলকে প্রেরণা যোগাবে নিশ্চিতভাবেই। তবে জয়ের ধারায় ফিরতে দলগত পারফরম্যান্সটা হবে পূর্বশর্ত।  
এসএ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি