ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

আনসার বিদ্রোহে খালাস ৬৭৪ জনের চাকরি পুর্নবহালের নির্দেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৪৫, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

১৯৯৪ সালের ৩০ নভেম্বর আলোচিত আনসার বিদ্রোহের অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়া ৬৭৪ জনের মধ্যে যাদের বয়স ও শারীরিক-মানসিক সক্ষমতা আছে তাদেরকে চাকরিতে পুর্নবহালের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

রায়ের অনুলিপি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। রবিববার এ বিষয়ে জারি করা পৃথক দুটি রুল যথাক্রমে ঘোষণা করেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে আনসার সদস্যদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. সাহাবুদ্দিন খান লার্জ ও রাশেদুল হক খোকন। অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সূচীরা হোসাইন।

আনসার সদস্যদের আইনজীবীরা গণমাধ্যমকে বলেন, ১৯৯৪ সালের ৩০ নভেম্বর সংগঠিত  আনসার বিদ্রোহের ঘটনায় চাকরিচ্যুত ৬৭৪ জন আনসারকে চাকরিতে পুনর্বহালের রায় দিয়েছেন হাই কোর্ট। তবে এদের মধ্যে যাদের শারীরিক-মানসিক সক্ষমতা আছে তারাই চাকরি ফিরে পাবেন। আর যাদের সক্ষমতা নেই তারা যতদিন চাকরিতে ছিলেন ততদিনের পেনশন সুবিধা দিতে বলা হয়েছে।

গত বছরের ১৩ এপ্রিল একটি ও ১০ জুলাই পৃথক দুইটি রিটের রুল নিষ্পত্তি করে একই রায় দেয় হাই কোর্টের একই বেঞ্চ। ১৩ এপ্রিল দেওয়া রায়ে ২৮৯ জনকে আর ১০ জুলাইয়ের রায়ে এক হাজার৪৪৭ জনকে চাকরিতে পুনর্বহালের রায় দেয় আদালত।

দুই হাজার ৪৯৬ জন চাকরিচ্যুত আনসারের মধ্যে পৃথক পাঁচটি রিটের রায়ে এ নিয়ে ২৪১০ জন আনসার চাকরিতে পুনর্বহালের আদেশ পেলেন উচ্চ আদালত থেকে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে ১৯৯৪ সালের ৩০ নভেম্বর আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়, যা পরবর্তীতে বিদ্রোহে রূপ নেয়। সেনাবাহিনী, বিডিআর ও পুলিশের সহযোগিতায় ৪ ডিসেম্বর বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

এ ঘটনায় পরবর্তীতে ২ হাজার ৬৯৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে কর্মকর্তারা চাকরিতে পুনর্বহাল হলেও বাকি ২ হাজার ৪৯৬ আনসারকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

তাদের বিরুদ্ধে পৃথক ৭টি ফৌজদারি মামলা করা হয়। এর মধ্যে ১৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। অভিযুক্তরা বিচারে খালাস পান। এ অবস্থায় তারা চাকরি ফিরে পেতে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন। কিন্তু তাদের চাকরিতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি।

এ কারণে ২৮৯ জন চাকরি পুর্নবহাল ও প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা চেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন। আনসার সদস্যদের চাকরিচ্যুত কেন অবৈধ ও বেআইনী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে ২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর রুল জারি করেন আদালত।

এ রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের ১৩ এপ্রিল প্রথম রায় ঘোষণা করেন হাই কোর্ট।

কেআই/টিকে


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি