ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

আন্দোলনকারীদের সব দাবি মেনে নিয়েছে সরকার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৩৩, ১ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১৬:৫৬, ১ আগস্ট ২০১৮

সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাদের সব দাবি মেনে নিয়েছে সরকার বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সব দাবি যৌক্তিক। সরকার তাদের দাবিগুলো মেনে নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে এই দাবিগুলো বাস্তবায়নের কাজ চলছে। একইসঙ্গে সড়ক থেকে সরে ক্লাসে ফিরার আহবান জানান তিনি।

আজ বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিনি কনফারেন্স রুমে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিদের ব্রিফ করার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব জানান তিনি।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, আইজিপি জাভেদ পাটোয়ারি, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, বাস মালিক সমিতির নেতা এনায়েতউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

মিটিং শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ছাত্রদের সব দাবি সরকার মেনে নিয়েছে। ঘাতক গাড়ি জাবালে নূরের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে। বাসের ড্রাইভার-হেলপারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘাতকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

তিনি জানান, স্টার্টিং পয়েন্টে গাড়ির ফিটনেট, রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিট ও চালকের লাইসেন্স পরীক্ষা করে প্রতিদিন রাস্তায় গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ থেকেই এটা শুরু হয়েছে। এসব পরীক্ষার সময় বিআরটিকে সহযোগিতা করবে মালিক ও শ্রমিকরা। পুলিশ বিষয়টি তদারকি করবে।

এ বিষয়ে সরকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও অভিভাবকদের সহযোগিতা চায়। আপনারা আপনাদের সন্তানদের, শিক্ষার্থীদের ঘরে-ক্লাসে ফিরিয়ে নিন। সরকার সব দাবি মেনে নিয়েছে, এগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই সময়ে গাড়ি ভাঙচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে।’নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘সরকারের আজকের বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

রোববার জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর গত চার দিন ধরেই রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নয় দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে।

 তাদের দাবিগুলো হল- ১. বেপোরোয়া চালককে ফাঁসি দিতে হবে এবং এই শাস্তি সংবিধানে সংযোজন করতে হবে। ২. নৌপরিবহনমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। ৩. শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা নিতে হবে। ৪. প্রত্যেক সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় স্পিড ব্রেকার দিতে হবে। ৫. সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্র-ছাত্রীদের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে। ৬. শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে থামিয়ে তাদের বাসে তুলতে হবে। ৭. শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ৮. রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল এবং লাইসেন্স ছাড়া চালকদের গাড়ি চালনা বন্ধ করতে হবে। ৯. বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না।

টিআর/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি