ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

আমরা চাই আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হোক: প্রধানমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৫০, ১৪ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ২৩:৫২, ১৪ অক্টোবর ২০১৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের ভিত্তি সুসংহতকরণে তাঁর দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ চায় আগামী নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হোক।

প্রধানমন্ত্রী শনিবার সন্ধ্যায় তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ ও কার্যনির্বাহী সংসদের যৌথসভায় সভাপতিত্বকালে একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী এসময় আরও বলেন, ‘আমরা চাই আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে। কেননা জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একদিন আমরাই সংগ্রাম করেছিলাম। মানুষের ভোটাধিকার সুসংহত করে গণতন্ত্রকে একটা প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি প্রদানই তাঁর দলের লক্ষ্য।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, সকলকে এখানে ডাকার উদ্দেশ্যই হচ্ছে গণতন্ত্রের ভিত্তিটাকে আরো মজবুত করা এবং জনগণের এই মৌলিক অধিকার যেন আর কখনো কেউ কেড়ে নিতে না পারে, সেটাকে সুরক্ষিত করা ও গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া। এটাই আমাদের লক্ষ্য এবং এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের যা যা করণীয়- আমরা তা করে যাব।

নির্বাচনকে জনগণের মৌলিক অধিকার আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ৯ মাসের মাথায় আমাদেরকে একটি সংবিধান উপহার দিয়েছেন। সেখানে এই মৌলিক অধিকারের কথা সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে, যার ভিত্তিতেই ১৯৭৩ সালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এই নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করেই এদেশে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতা দখলের পালা শুরু হয়। সেখান থেকেই কিন্তু জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলাও শুরু।

তিনি জিয়াউর রহমানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘হ্যাঁ’, ‘না’ ভোটের তামাশা করা, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নামে প্রহসন, সেনাপ্রধান হয়েও আর্মি রুলস অ্যাক্ট ও সংবিধান লংঘন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং এরপর ক্ষমতায় গিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন, উর্দি পরে রাজনীতি করার মাধমে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ধ্বংস করে সামরিক শাসনের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করার একটা প্রক্রিয়া এদেশে চালু হয়।

সরকার প্রধান বলেন, তখন বার বার আমরা দেখেছি যে, নির্বাচন নিয়ে কিভাবে খেলা হয়েছে, যারাই ক্ষমতায় এসেছে। জিয়াউর রহমানই শুরু করেছিল অবৈধ ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়া। তারপর জেনারেল এরশাদ একই কান্ড ঘটালো।

এরপর অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই গণতান্ত্রিক ধারাটাও আবার ব্যাহত করলো খালেদা জিয়া-১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসার পর।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৯৬ সালে খালেদা জিয়া একটা ভোটারবিহীন নির্বাচন করলো। যদিও বাংলাদেশের মানুষ সেই নির্বাচন মেনে নেয়নি এবং মাত্র দেড় মাসের মাথায় আন্দোলন-সংগ্রামের ফলে খালেদা জিয়া ক্ষমতা থেকে উৎখাত হলো। এরপর নির্বাচন হয় ’৯৬ সালের ১২ জুন, সেই নির্বাচনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে।

 

সূত্র : বাসস


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি